যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত, সাংবাদিক গ্রেফতারে ক্ষমা প্রার্থনা
পুলিশি নির্যাতনের পর কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক রাজ্যে, শহরে। মিনেসোটা, নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়াতে দেখা দিয়েছে উত্তাল বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে নিউইয়র্ক, লস অ্যানজেলেস, শিকাগো, ডেনভার, হিউজটন, লুইসভিলে, ফিনিক্স, কলম্বাস ও মেম্ফিসে।
বিক্ষুব্ধ জনতা হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা জর্জ ফ্লয়েডের ছবিসহ প্লাকার্ড নাড়িয়ে স্লোগান দেয়। ফ্লয়েড হত্যায় বিচার দাবি করতে থাকে। তবে হোয়াইট হাউজ এ সময় ছিল লকডাউনে। ওদিকে বিক্ষোভের রিপোর্ট কভার করতে যাওয়া সিএনএনের সাংবাদিক ওমর জামিনেজকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার সকালের দিকে তিনি লাইভ সম্প্রচারে রিপোর্ট দিচ্ছিলেন। পুলিশ তার ক্যামেরাম্যান ও প্রযোজককে আটক করে। ওমর জামিনেজকে হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়। পরে তাদেরকে কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যায়িত করে ক্ষমা চেয়েছেন মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ।
অন্যদিকে সিএনএন বলেছে, এভাবে সাংবাদিকদের গ্রেফতারে সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে। এসব খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, আফ্রিকার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। লাখ লাখ মানুষ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিচার দাবি করছেন।
এক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গ বা শ্বেতাঙ্গ কোনো ভেদাভেদ নেই। আগের দিন বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যাপক অগ্নিসংযোগ করে। এ নিয়ে প্রশাসনে, রাজনীতিতে তোলপাড় হয়। এরই মধ্যে মিনিয়োপোলিসের সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে তাদের হেফাজতে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।