৫২টি ডিম দিয়েছে সুন্দরবনের কুমির জুলিয়েট
বাগেরহাটের সুন্দরবনে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে কুমির জুলিয়েট ৫২টি ডিম পেড়েছে। শুক্রবার (২৯ মে) সকালে কুমিরটি পুকুরের কিনারায় মাটি খুড়ে ডিমগুলো পাড়ে।
নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় ইনকিউবেটরে রেখে ডিম থেকে কৃত্তিমভাবে বাচ্চা ফোটানোর উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। ডিম থেকে কুমিরের ছানা ফুটে বের হতে ৮৫ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে জুলিয়েট এবং পিপল নামে দুটি কুমির প্রজনন কেন্দ্রে ১৬৪টি ডিম পাড়লেও তা দিয়ে বাচ্চা ফোটাতে পারেনি বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রজনন কেন্দ্রের কুমির জুলিয়েট পুকুর পাড়ে একে একে ৫২টি ডিম দিয়েছে। ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটরে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ডিম থেকে ছানা ফুটে বের হতে ৮৫ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রজনন কেন্দ্রের বয়স্ক পুরুষ প্রজাতির কুমির রোমিওকে তুলে নিয়ে সেখানে অন্য একটি পুরুষ কুমির ছাড়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।