কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা থেকে সুস্থ হয়েই অন্যকে বাঁচাতে প্লাজমা দিলেন ভাইবোন

বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ০৯:৫৪

মাহপারা তাসনীম ও মাশরুর তাহমিন, ভাইবোন। তারা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে। তবে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তারা।
করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরই অন্যের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন এই দুই ভাইবোন। তারা করোনা আক্রান্ত একজন চিকিৎসকের জন্য প্লাজমা দিয়েছেন। গত ২৭ মে তারা এই প্লাজমা দেন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহপারা তাসনীমের মা–বাবা দুজনেই চিকিৎসক। বাবা মশিউর রহমান হবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক। মা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক হেলেনা আফরিন। মাহপারা, তার ভাই ‘এ’ লেভেলে পড়ুয়া মাশরুর তাহমিন ও মা হেলেনা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
মাহপারা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদেরকে যখন বলেছে যে একজন অসুস্থ, আমাদের প্লাজমাটা ওনার কাজে লাগবে। তখন মনে হলো যে এটা তো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের জন্য এটা একটা সুযোগ যে কাউকে সাহায্য করতে পারছি। যাঁরা শারীরিকভাবে সক্ষম, সবার উচিত প্লাজমা দিয়ে সাহায্য করা।’

মাহপারা ও মাশরুরের বাবা মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েরা ছোট হয়েও এগিয়ে এসেছে। সাহস করেছে। মানুষের ভীতিটা কাটুক। যারা সুস্থ হয়েছেন, তাঁরাও এগিয়ে আসুন। কারও জন্য কিছু করতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাই যদি এগিয়ে না আসে, বিপদ বাড়বেই। এখন পর্যন্ত প্লাজমা চিকিৎসা কিছুটা কার্যকর দেখা যাচ্ছে।’

ছেলেমেয়ের প্লাজমা একজন গুরুতর রোগীর জন্য দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মশিউর রহমান বলেন, দুজনের প্লাজমা আইসিউতে নিয়ে রোগীকে দেওয়া হয়েছে। এরপর জানতে পারেন যে রোগীর কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মশিউর রহমানের পরিবার সাহসের সঙ্গে নিজেদের বিপদ সামলেছে। এখন অন্যের বিপদেও এগিয়ে এসেছে।

প্লাজমা কী এবং কিভাবে কাজ করে:

রক্তের জলীয় অংশকে প্লাজমা বলে। কোনও ব্যক্তি ভাইরাস–ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তার শরীরে জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হয়। ফলে তার রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে নিষ্ক্রিয় করে তোলে ও এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় এই অ্যান্টিবডি রয়েছে, যা সংগ্রহ করে কোভিড আক্রান্ত রোগীর শরীরে দিলে সাময়িক প্যাসিভ ইমিউনিটি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডি সার্চ করোনা-২ ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে এবং রোগী সুস্থ হতে থাকে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও