কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঋতুপর্ণ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ০৯:০০

ঋতুপর্ণ মানেই একসময় আমার কাছে মনে হতো মন খারাপের দিনে মেঘ পিওনের ব্যাগের কথা। কেমন অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করত। তারপর ঋতুপর্ণের বয়স বাড়ল, সঙ্গে আমারও। ধীরে ধীরে পরিচিত হলাম তাঁর চলচ্চিত্রে ‘চোখা চোখা’ ভাষায় ঝগড়া করা, মন ভার করা সংলাপ বলা আর গম্ভীর চিন্তা করা চরিত্রগুলোর সঙ্গে। দেখলাম যে ঋতুর সিনেমায় আদিগন্ত মাঠ বা খোলা আকাশের দেখা মেলা ভার; বরং সিনেমাগুলোতে জানালার ফাঁক গলিয়ে একচিলতে রোদ্দুরই ভরসা। আমার কিন্তু ওই রোদ্দুরটুকুই বেশ লাগত।

তারপর একদিন হঠাৎ ঋতুপর্ণ সুনীল বেশে, কাজল নয়নে অভিসারে যেতে চাইলেন। শোনা গেল বনমালী নয়, পরজনমে রাধা হবেন তিনি। একদিন বললেন, সিনেমা হলের অন্ধকারে নাকি তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে, তাই ঋতুপর্ণ নিজের থেকেই পালাতে চাইছিলেন ক্রমাগত। এরপর এক সকালে শোনা গেল, সত্যিই পালিয়েছেন তিনি। চলে গেছেন অসীমে। বলেছিলেন, ‘সত্যি যদি পরলোক বলে কিছু থাকে, তবে একদিন সন্ধেবেলা, পায়ে হেঁটে পৌঁছব সেখানে।’ তাই ঋতুপর্ণ পরলোকে পৌঁছানোর সেই বিষণ্ন সন্ধ্যায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর অন্য কোনো উপায় না পেয়ে, তাঁর রহস্যঘেরা কাজের জগৎ পুনর্পাঠ করবার আকাঙ্ক্ষা আমাকে পেয়ে বসে। ফলে সেদিন থেকে আমারও নতুন করে শুরু।

ঋতুর সিনেমাগুলো দেখার পাশাপাশি তাঁর লেখার সংকলন ‘ফার্স্ট পার্সন’ নিয়ে বসি একটু ফাঁক পেলেই। পড়তে পড়তে দেখতে পাই, কীভাবে নিজেকে পাল্টে নিচ্ছিলেন ক্রমাগত, সঙ্গে পাল্টে দিচ্ছিলেন চলচ্চিত্রের টেক্সট, খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসছিলেন অনন্য ঋতু। টুক টুক করে পাড়ি জমাচ্ছিলেন মঞ্চতেও। এক ছবি থেকে অন্য ছবিতে ভেঙে চলেছেন প্রথা আর মেকিং স্টাইল। সেই উনিশে এপ্রিল (১৯৯৪) ছবিতে বিধবার গায়ে দিয়ে দিলেন রংচঙে পোশাক, শুধু এটুকুই নয়, গলায় দিলেন মঙ্গলসূত্রও। ছবির গাঁথুনিতে মোহিত দর্শক, তাই এই প্রথাবিরোধিতাকে অকপটে স্থান দিল মনে। বিধবার গায়ে গয়না আর লাল রং চড়ানো এখানেই থেমে থাকে না। চোখের বালি (২০০৩) চলচ্চিত্রে বিধবা বিনোদিনী হাজির প্রচুর গয়না গায়ে জড়িয়ে। পোস্টারের কেন্দ্রেও ব্যবহার করলেন বিনোদিনীর গয়না জড়ানো ছবি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও