কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা আর পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা?

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২০, ১৮:০৩

সুন্দরবনে ঘুরতে গিয়ে বনরক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে ‘প্রবেশ নিষেধ’ ও ‘বিপজ্জনক’ এলাকায় ঢুকে পড়ে একদল কিশোর। সংখ্যায় তারা ছয় জন। তাদের বয়স ১৬-১৭ বছর। এদের মধ্যে দুই জন ঢাকায় থাকে। আর বাকি চার জন গ্রামে।

বনের ওই এলাকায় ঢুকে হাঁটতে হাঁটতে কখন যে বহুদূর চলে গেছে, সেটা তারা টের পায়নি। যখন টের পেল, দেখলো পথ হারিয়ে ফেলেছে। সঙ্গে ছিল তিনটি মুঠোফোন। মুঠোফোনের মাধ্যমে তারা ‘৯৯৯’ নম্বরে যোগাযোগ করলে বিষয়টি জানতে পারে স্থানীয় পুলিশ। পরে প্রায় ১০ ঘণ্টায় ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ অভিযানে পর তাদের উদ্ধার করা গেছে।

আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) ফেসবুক পেজে এ ঘটনাটি জানানো হয়।

ডিএমপির ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টটি তুলে ধরা হলো।

শ্বাসরুদ্ধকর থ্রিলিং সিনেমার চিত্রনাট্য অথবা গা শিউরে ওঠা কিশোর উপন্যাসের কাহিনীর চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। বরং ঘটনাটি নতুন ও প্রাণবন্ত!

সময়: বুধবার সকাল ১০টা। স্থান: সুন্দরবন।

বনরক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে নেহাত মজা করতে গিয়ে সুন্দরবনের ‘প্রবেশ নিষেধ’ ও ‘বিপজ্জনক’ এলাকায় ঢুকে পড়ে একদল দুরন্ত কিশোর। কিন্তু তাদের সে মজা বিভীষিকা হয়ে উঠতে বেশি সময় নেয়নি। মনের খেয়ালে পথ হারিয়ে বনের গহীনে হারিয়ে যেতে থাকে উদ্দাম কিশোরের দল!

সংখ্যায় ওরা ছয় জন— জয়, সাইমুন, জুবায়ের, মাঈনুল, রহিম ও ইমরান। বয়স ১৬-১৭ বছর। দুই জন ঢাকায় থাকে। বাকি চার জন গ্রামে। ঈদ উপলক্ষে সুন্দরবনে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে তারা। যেই ভাবনা, সেই কাজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা বুধবার সকালে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগরে বেড়াতে যায়।

ধানসাগর-লাগোয়া এলাকায় বনরক্ষীদের অফিস। পাশেই ছোট্ট খাল। খালের ওপারে যাওয়ার জন্য একটি কাঠের পুল বানানো হয়েছে। পুলটি সাধারণ মানুষের জন্য নয়। এই সুন্দরবন পাহারা দেওয়া বনরক্ষীরা এটির ওপর দিয়ে বনের গহীনে যান।

ছয় কিশোর লোকচক্ষুর অন্তরালে পুল পেরিয়ে খালের ওপারে চলে যায়। এরপর গল্প করতে করতে তারা সুন্দরবনের ভেতরে হাঁটতে থাকে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো, দুপুর গড়িয়ে বিকেল। কিশোরেরা ভুলেই যায় তাদের ঘরে ফিরতে হবে। ততক্ষণে সুন্দরবনের বিপদসংকুল গহীন অংশে ঢুকে পড়েছে উদ্দাম কিশোরের দলটি।

বিকেলে বহু দূরের মসজিদ থেকে ভেসে এলো আসরের আজানের শব্দ। তাদের সম্বিৎ ফেরে! এতক্ষণে তবে ঘরে ফেরার কথা মনে হলো? কিন্তু পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনের কাঁদা-জলে বেড়ে ওঠা শ্বাসমূলের ফাঁকেফাঁকে অপার্থিব রহস্য লুকায়িত রয়েছে। সুন্দরী, কেওড়া, গরান ও হোগলার পরতে পরতে জীবন ও মৃত্যু দুটোই সমভাবে আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো ডাকবে।

কিশোরের দল যে পথে ঢুকেছিল সুন্দরবনে, সে পথ তারা আর খুঁজে না পেয়ে এদিকে-ওদিকে এলোমেলো হাঁটাহাঁটি করে চূড়ান্তভাবে পথ হারাল। বন থেকে বেরিয়ে আসার পরিবর্তে উল্টো বনের গহীনে যেতে লাগলো ‘পথের মাঝে পথ হারানো’ দুরন্ত-উৎসুক কিশোরের দল। এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। বেরুনোর কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না তারা। এবার ওরা রীতিমতো ভীত, বিচলিত ও দিশেহারা।

ছয় কিশোরের সঙ্গে ছিল তিনটি মুঠোফোন। কিন্তু যে বিশাল বন তার বুক দিয়ে আইলা, সিডর, আম্পানের মতো প্রলয়ংকরী ঝড় আটকে দিয়েছে বারংবার, সেই সুন্দরবনে ইন্টারনেটের তরঙ্গ বাধাগ্রস্ত হবে সেটাই স্বাভাবিক। মুঠোফোনে নেটওয়ার্ক আসে যায়, আসে যায়। একপর্যায়ে ওরা সমর্থ হলো। ফোন দিয়ে বাড়িতে জানালো তারা বনের গহীনে হারিয়ে গেছে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও