কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লকডাউনে টিউশনি বন্ধ থাকায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ইত্তেফাক প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২০, ০৬:৫৬

রাজধানীর জিগাতলার একটি মেসে থাকত সাদমান ইবনে জায়েদ (ছদ্মনাম)। ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল’-এর শিক্ষার্থী। টিউশনি করেই চলত তার লেখাপড়া, মেস ভাড়া, বাড়িতে ছোটোবোনের পড়ার খরচসহ পরিবারের কিছু খরচ। ছোটোবেলায় বাবা মারা যাওয়ায় জায়েদের লেখাপড়া চলত অন্য শিশু শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে, উপার্জন করা টাকায়। ঢাকায় আসার পর মা-বোনসহ তার তিন সদস্যের পরিবার ভালোই চলছিল।


লকডাউনে তার টিউশনি বন্ধ হয়ে গেলে বাধ্য হয়ে গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা চলে যান জায়েদ। মাস পার হতে না হতেই মেস মালিক ভাড়ার টাকার জন্য ফোন দেওয়া শুরু করেন। কোনো রকম বুঝিয়ে এক মাসের ভাড়া বাকি রাখলেও পরের মাসের শুরুতে বাড়িওয়ালার তাগাদাতে বাধ্য হয়ে ধার-দেনা করে দুই মাসের মেস ভাড়া পাঠাতে বাধ্য হন জায়েদ। জায়েদ বলেন, ‘খুব অসহায় লাগছে, জানি না যে সব বাসায় পড়াতাম সেসব বাসায় আর যেতে পারব কি-না। ধনী বড়োলোকেরা বেশি সচেতন।’


‘ঢাকা গেলে মেসভাড়া নিয়ে যেতে হবে। আর গ্রামে থেকেই বা কী করব! আমাদের মতো টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালানো শিক্ষার্থীর সংখ্যা রাজধানীতে অনেক। আমরা এখন কী করব কোনোভাবেই সেই হিসাব মেলাতে পারছি না।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুলতানা রাজিয়া (ছদ্মনাম) বলেন, মধ্যবিত্ত কৃষিজীবী পরিবারের সন্তান আমি। টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ ও মেস ভাড়া চালাই। কিন্তু মহামারির সময় টিউশনি বন্ধ।


ওদিকে মেস মালিক ভাড়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছে। এমন সংকট শুধু জায়েদ বা রাজিয়ার নয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের এ সমস্যার কথা জানান মোবাইল ফোনে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি নিজেদের প্রতিষ্ঠানের টিউশনি করে চলা শিক্ষার্থীদের তালিকা করে সহযোগিতা করেন, তাহলে তারা কিছুটা উপকৃত হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরপর অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেলেও, যাদের টিউশনি বা খণ্ডকালীন চাকরি আছে, তারা রয়ে যান।


কিন্তু এর মধ্যে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হয়। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের পরিবহনও। ফলে এই শিক্ষার্থীরা পড়েন বিপাকে। এখন উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় থাকা খাওয়ার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন এলাকায় মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়। তাছাড়া, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বড়ো অংশই নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও