সিলেটের বিশ্বনাথে করোনা সন্দেহে বিরোধের জেরে ঘণ্টাব্যাপী দু’পক্ষের সংঘর্ষে সালিশকারী ও পথচারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বিলাল উদ্দিন ও ফরিদ আলী নামের দু’জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কাদিপুর গ্রামের রফিক আলী ও গয়াছ আলীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, গত ১৮ মে সোমবার রফিক আলীর স্ত্রী সন্তান প্রসবজনিত কারণে বাড়িতে অসুস্থ হয়। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় ওই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গ্রামে এমন গুঞ্জন শুরু হয়। এর দুইদিন পর রফিক আলীর ভাই প্রবাসী আইয়ুব আলীর সঙ্গে রাস্তায় কথা হয় প্রতিপক্ষ গয়াছ আলীর আত্মীয় একই গ্রামের আঙ্গুর আলীর সঙ্গে। এ সময় আইয়ুব আলী আঙ্গুর আলীকে তার বাড়িতে বসে গল্প করার অনুরোধ করেন।
কিন্তু আঙ্গুর মিয়া তার বাড়িকে করোনা রোগীর বাড়ি বলে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে গত ২৩ মে শনিবার রফিক আলী ও আঙ্গুর আলীর মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আর এ বিষয়টি জানাজানি হলে কাদিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা রফিক আলীর স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষা করেন কিন্তু সম্প্রতি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
বুধবার (২৭ মে) রফিক আলীর ধানক্ষেতে প্রতিপক্ষ গয়াছ আলীর একটি গরু গেলে তাদের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা মীমাংসা করে দিলেও বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.