কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যে ৭ খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি করে

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০, ১২:০৯

মস্তিষ্ক দেহের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের অন্যান্য সব ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যার মধ্যে হৃৎস্পন্দন, ফুসফুসের শ্বাস প্রশ্বাস এবং শরীরের অন্যান্য সব কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেহেতু সমস্ত শারীরিক ক্রিয়া আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর নির্ভরশীল, তাই এটি সুস্থ রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং সঠিক শরীরচর্চা দিয়ে মস্তিষ্ক সুস্থ রাখা সম্ভব।

কিছু খাবার আমাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এতে আপনার স্মৃতি, মেজাজ নষ্ট হওয়া এবং ডিমেনশিয়ার মতো পরিস্থিতির ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখানে নির্দিষ্ট খাবারের একটি তালিকা রয়েছে যা আমাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এগুলো বাদ দিতে পারলে মস্তিষ্ক-সম্পর্কিত সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব- সুগার পানীয়সোডা, কোলা, জুস, এনার্জি ড্রিংকস এবং স্পোর্টস ড্রিঙ্কের মতো সুগার ড্রিঙ্কগুলো কোমরেখা প্রসারিত করে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। শুধু তাই নয়, এগুলো মস্তিস্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

বেশিরভাগ মিষ্টি পানীয়তে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেশি, যা স্থূলত্ব, উচ্চ রক্তচাপ, চর্বি এবং ধমনীর বিকলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিপাক সিনড্রোমের এই দিকগুলো ডিমেনশিয়া বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। চিনির উচ্চমাত্রায় ডায়েট মস্তিষ্কের প্রদাহ বাড়াতে এবং স্মৃতিশক্তিকে নষ্ট করতে পারে।

অ্যালকোহলঅতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে মস্তিষ্কে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী অ্যালকোহল ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের আয়তন হ্রাস, বিপাকীয় পরিবর্তন এবং নিউরোট্রান্সমিটারের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যেসব ব্যক্তি বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে প্রায়শই ভিটামিন বি১ এর ঘাটতি থাকে, যা ওয়ার্নিকের এনসেফেলোপ্যাথি নামে একটি মস্তিষ্কে ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলস্বরূপ কর্সাকফের সিনড্রোম বিকাশ ঘটতে পারে।

এই সিন্ড্রোম স্মৃতিশক্তি হ্রাস, দৃষ্টিশক্তিতে ব্যাঘাত, বিভ্রান্তি এবং অস্থিরতাসহ মস্তিষ্কের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। অ্যাসপার্টামঅ্যাসপার্টাম হলো সুগার ফ্রি পণ্যগুলোতে থাকা কৃত্রিম মিষ্টি। ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন এমন ব্যক্তিরা বেশিরভাগ সময় সুগার ফ্রি খাবার খেতে পছন্দ করেন। অ্যাস্পার্টম ফেনিল্লানাইন, মিথেনল এবং অ্যাস্পার্টিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি।

ইঁদুরের উপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, অসম্পূর্ণ স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিস্কে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি করে অ্যাস্পার্টাম। অ্যাস্পার্টেট এড়ানোর জন্য, আপনার ডায়েট থেকে কৃত্রিম মিষ্টি এবং অতিরিক্ত চিনি বাদ দিন। উচ্চ পারদযুক্ত মাছপারদ একটি ভারী ধাতব সংশ্লেষ এবং একটি স্নায়বিক বিষ যা প্রাণীর টিস্যুতে দীর্ঘকাল ধরে সংরক্ষিত থাকতে পারে।

দীর্ঘজীবী শিকারী মাছগুলোর শরীরে পারদ জমে এবং তাদের আশেপাশের পানির ঘনত্বের পরিমাণ ১ মিলিয়নেরও বেশি বহন করে। যদি কোনো ব্যক্তি পারদ গ্রহণ করে তবে এটি মস্তিষ্ক, যকৃত এবং কিডনিতে ঢুকে করে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি প্লাসেন্টা এবং ভ্রূণেও ছড়িয়ে পড়ে। পারদের বিষক্রিয়া কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং নিউরোট্রান্সমিটারের বিঘ্ন ঘটায়। এতে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।

উচ্চ পারদযুক্ত মাছের মধ্যে হাঙর, সওয়ার্ডফিশ, টুনা, কিং ম্যাকেরেল এবং টাইল ফিশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবারযে খাবারগুলো উচ্চ প্রক্রিয়াজাত হয় তাদের মধ্যে চিনি, চর্বি এবং লবণ বেশি থাকে। এই খাবারগুলোর মধ্যে চিপস, মিষ্টি, ইনস্ট্যান্টস নুডলস, মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন, সস এবং রেডিমেড খাবার রয়েছে।

এই খাবারগুলোতে ক্যালোরি বেশি এবং পুষ্টির পরিমাণ কম। যা স্থূলত্বের দিকে নিয়ে যায় এবং মস্তিস্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অস্বাস্থ্যকর উপাদানের উচ্চতর ডায়েটের ফলে মস্তিষ্কে চিনির বিপাকের মাত্রা কম থাকে এবং মস্তিষ্কের টিস্যু হ্রাস পায়। যে দুটি কারণ আলঝাইমার রোগের জন্য চিহ্নিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও