ঢাকা: প্রাকৃতিক নিয়মেই রোজা শেষে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। তবে এবার ঈদের সেই চিরচেনা আনন্দের রূপে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আনন্দ-বেদনা, দুঃখ-কষ্ট এবং অনিশ্চয়তায় অপরিচিত এক ঈদ উদযাপন করছে বাংলাদেশ। করোনার কারণে ম্লান হয়ে গেছে এবারের ঈদের আনন্দ।মানুষের আত্মশুদ্ধির একটি বলিষ্ঠ হাতিয়ার সিয়াম পালন বা রোজা। দীর্ঘ একমাস রোজা রাখার পর ধনী-গরিবের ব্যবধান ভুলে সার্বজনীন ঈদ উৎসবে মিলিত হয় সবাই। ঈদের দিন সকালে নামাজের পর একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করা, বড়দের সালাম করে সালামি নেওয়া, প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা, ঘুরে বেড়ানো এগুলোই হচ্ছে ঈদের আনন্দ। তবে এবারে ঈদের সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না।
করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির ফলে এবারের ঈদ সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। ফলে ঈদে চিরাচরিত সেই আনন্দের আবহ নেই। অনেকেই বাড়ি-ঘর, পরিবার-পরিজন, বাবা-মার কাছ থেকে দূরে থেকে ঈদ উদযাপন করছেন। ঈদের সার্বজনীন চরিত্র হারানোর এ অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে নতুন। ভয় অনিশ্চয়তা আর আতঙ্কে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে।
সমাজের অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল, শ্রমিক শ্রেণি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন থেকে উপার্জনহীন। গার্মেন্টসকর্মী, কর্মহীন শ্রমিক, দিন মজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের বোবা কান্নায় উযাপিত হচ্ছে এবারের ঈদ। এসব মানুষের কাছে ঈদের আনন্দ-উৎসবতো দূরে থাক কোনো রকম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বেতন-বোনাস পাননি এবারের ঈদে। ঈদের পরে অবস্থা কি হবে, সেই আতঙ্ক রয়েছেন অনেকেই। একদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, অন্যদিকে জীবিকার অনিশ্চয়তা এবারের ঈদে বেশিরভাগ মানুষের ভাবনার বিষয়। তাই চাইলেই ঈদে আনন্দ করাটা কষ্টকর। করোনাকালে নানামুখী অনিশ্চয়তা-সংশয়, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা সবকিছু মিলে এবারের ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে। তবে তারপরেও মানুষ আশা করছে একদিন অদৃশ্য শত্রু করোনাকে মোকাবিলা করে আবারও ফিরে আসবে সুদিন, মানুষ ফিরবে তার জীবন-জীবিকায়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.