ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৬ জন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড পশ্চিমবঙ্গ এখনো কার্যত অচল। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার চার দিন পরও কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে ফেরেনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে বিপর্যয় রাজ্য ঘোষণার দাবি উঠেছে।
আম্পানে কলকাতাসহ রাজ্যের ৭ জেলা বিধ্বস্ত। ঘূর্ণিঝড়ে হাজার হাজার গাছ, ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও টেলিফোনের টাওয়ার। পানি, বিদ্যুৎ ও মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত।
জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ চললেও ছন্দে ফেরেনি কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিধ্বস্ত এলাকা। গতকাল রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আম্পানে কলকাতাসহ রাজ্যের ৭ জেলায় প্রাণ গেছে ৮৬ জনের। এর মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে ২২ জন। গাছ পড়ে মারা গেছে ২৭ জন। দেয়ালচাপায় মারা গেছে ২১ জন। বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে মারা গেছে ৫ জন। পানিতে ডুবে মারা গেছে ৩ জন। সাপের কামড়ে মারা গেছে একজন। বসতঘর ভেঙে মারা গেছে ২ জন। ল্যাম্প পোস্ট পড়ে মারা গেছে ২ জন। আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে ৩ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের ৩৮৪টি ব্লক ও পৌরসভা। ক্ষতির শিকার হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে ২১ হাজার ৫৬০ বর্গকিলোটিার এলাকা। সাড়ে ১০ লাখ গ্রামের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের আম্পান বিধ্বস্ত এলাকা গতকাল শুক্রবার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আম্পানের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ১ হাজার কোটি রুপি দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া আম্পানে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারপিছু ২ লাখ এবং আহত ব্যক্তির পরিবার পিছু ৫০ হাজার রুপি অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
বিজেপি–বিরোধী দেশের ২২টি দল গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এক বৈঠরে পর জানিয়ে দেয়, তারা চাইছে আম্পানে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গকে অবিলম্বে বিপর্যয় রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হোক। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে ফের গড়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করুক।
ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। যোগ দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধধ ঠাকরে, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, এনসিপিপ্রধান শারদ পাওয়ার, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা, জনতা দল (এস) নেতা এইচডি দেবগৌড়া, এনসিপি নেতা ওমর আবদুল্লাহ, আর জেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এআইইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমল, রাজ্য সভার বিরোধীদলীয় নেতা গুলাম নবী আজাদ, লোকসভার কংগ্রেস দলীয় নেতা অধীর চৌধুরী, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন, আরজেডির মনোজ ঝা, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শারদ যাদব, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার নেতা জিতনরাম মাঝি প্রমুখ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.