ঈদগাহ ময়দানে নয়, দিনাজপুরে ঈদের জামাত হবে ৬৮০৮ মসজিদে
ঈদগাহ ময়দান বা খোলা জায়গায় নয়, দিনাজপুরে এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জেলার ৬ হাজার ৮০৮টি মসজিদে। করোনাভাইরাসের কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। এ জন্য দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানসহ জেলার কোনো ঈদগাহে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গত ১৯ মে জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে ঈদুল ফিতরের জামাত সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে আদায়ের লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত পত্র অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত সবাই আলোচনা করে ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় অথবা স্থানীয়ভাবে সময় নির্ধারণ করে জামাত অনুষ্ঠানের এবং এ ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক জামাতে পৃথক ইমাম নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয়।
মসজিদে অনুষ্ঠিত জামাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদের কার্পেট জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করা, ওজুর স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা, মুসল্লিদের মাস্ক পড়ে আসা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে কাতারে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়াও শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিতদের ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়। নামাজ শেষে কোলাকুলি অথবা পরস্পরের সঙ্গে হাত না মেলানোর অনুরোধ জানানো হয়।
দিনাজপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. রাজিউর রহমান জানান, ইতিমধ্যেই জেলার ৬ হাজার ৮০৮টি মসজিদ কমিটিকে নিজ নিজ মসজিদে ঈদের জামাত আয়োজনের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মসজিদে অনুষ্ঠিত জামাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও তথ্য অফিসের মাধ্যমে এ বিষয়ে জেলায় প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.