করোনা রোগী শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপন: আইসোলেশনে পাঠালো ইউএনও
রাজধানী ঢাকা থেকে জুতার দোকানের মালামাল আনার পর করোনা পজেটিভ হন বরগুনার পাথরঘাটার এক ব্যক্তি। এরপর আত্মগোপনে থাকা ওই করোনা রোগীকে আইসোলেশনে পাঠালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির। বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেল ৬টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শ্বশুরের বাসায় আত্মগোপন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ প্রহরায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইউএনও মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কয়েকদিন আগে এই রোগী তার দোকানের মালামাল আনার জন্য ঢাকায় যায়। ঢাকা থেকে আসার পরই টেস্টে করোনা পজেটিভ আসে। এরপরও তিনি দোকানদারি করেছেন। প্রশাসনসহ বিষয়টি সব মহলে জানাজানি হওয়ার পর আত্মগোপনে থাকেন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তার শ্বশুরের বাসা থেকে উদ্ধার করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া তার শ্বশুর বাড়ি লাল নিশান টানিয়ে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। এদিকে, জুতা ব্যবসায়ীর করোনা রোগী পজেটিভ হওয়ায় পাথরঘাটার সমাজকর্মী মেহেদি শিকদার ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন বুধবার (২০ মে) সকল জুতার দোকান বন্ধ করে দেন। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাবির হোসেন বাঁশ দিয়ে জুতার মার্কেট লকডাউন করে দেন। অ্যাডভোকেট জাবির বলেন, আমরা সকলের স্বার্থে জুতা মার্কেট লকডাউন করে দিয়েছি। এটা সকলের মানা উচিত।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল ফাত্তাহ বলেন, ইউএনও সাহেব একজন করোনা রোগী নিয়ে এসেছেন। আমরা তাকে আইসোলেশনে রেখেছি। তাছাড়া তার পরিবারে সকলের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।