ঈদের আমেজ নেই রাজধানীতে
ঈদের সময় ঘনিয়ে এলেও এখনো যেন ঈদের আমেজ নেই রাজধানীতে। সড়কে মানুষ থাকলেও বিপণি বিতান খোলা খুব কমই। সঙ্গে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। বিশেষ করে মোট সংক্রমণের ৮৫ শতাংশ ঢাকা বিভাগে হওয়ার ফলে এবার ঈদের আমেজের লেশমাত্র পাওয়া যাচ্ছে না রূপকথার এই নগরে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। রাজধানীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে বছরে দু’টি ঈদকে কেন্দ্র করে জামা-কাপড়, জুতাসহ আরও কিছু পণ্যের জমজমাট বেচাকেনা হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে এবার বন্ধ রয়েছে সবধরনের ব্যবসাবাণিজ্য। শবে বরাতের পর থেকে ঈদের বেচাকেনা শুরু হলেও এ বছর চিত্র উল্টো। ঈদ উপলক্ষে রমজানের শেষ ৪ থেকে ৫টি রাত যেভাবে উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেই প্রায় সারারাত ধরে বেচাকেনা করতেন শহরের প্রধান শপিংমলগুলোর দোকানীরা, এবার নেই সেই দৃশ্যও।
রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট, আজিজ সুপার মার্টেকসহ বন্ধ প্রায় সকল শপিংমল। ঈদের আগে গুলিস্তান এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় ফুটপাথে বেশ কিছু জামা-কাপড় ও থান কাপড়ের দোকান বসলেও এ বছর পুরো এলাকাই রয়েছে ফাঁকা। করোনা ভাইরাসের কারণে ফুটপাথের চায়ের দোকান, ফলের দোকান, খাবার হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন। সবকিছু মিলিয়ে রাজধানী এখন থমকে আছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণেই আপাতত বন্ধ সমস্ত মার্কেট। বড় বড় শপিং কমপ্লেক্সগুলো নিরাপত্তা বিধি মেনে বিকিকিনি করলেও মার্কেট খুলে দিলে ভিড় বাড়বেই। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই একটু মানিয়ে নিতে হবে সকলকে।
আর সাধারণ মানুষ বলছেন, অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় রাস্তায় মানুষের আগমন কম। কিছু মানুষ জরুরি প্রয়োজনে বেরুলেও যত দ্রুত সম্ভব কাজ সেরে নিচ্ছেন। সন্ধ্যার পরে ঢাকায় এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয় যেন। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আমেজ প্রায় বোঝায় যায় না। এদিকে এখনো যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের দু-একজনকে দেখা গেছে যানবাহনের খোঁজ করতে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলছে ২৫ মার্চ থেকে। চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলার জন্য সরকারের নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ বড় বড় বিপণি বিতান বন্ধ রয়েছে। ঘরের বাইরে মানুষের আনাগোনা কম। স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য।