স্বাস্থ্যখাত টেনে তুলতে জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয় করবে সরকার

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২১ মে ২০২০, ০৯:০৪

বর্তমানে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। যার চলতি মূল্য ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। বিশাল আকারের এ জিডিপির মাত্র ০ দশমিক ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যবহার করা হয়। এ খাত থেকে সুফল আসছে না সেভাবে। তাই স্বাস্থ্যখাতকে টেনে তুলতে এবং জন উপযোগী করতে ২০৩০ সালে জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০৪০ সালে ২ শতাংশ ব্যয় করবে সরকার।

মূলত অধিকতর জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের স্বার্থেই এই ব্যয় বৃদ্ধি। এছাড়া প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতেও বরাদ্দ বাড়াতে পারে সরকার।

‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ন: বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ শীর্ষক চূড়ান্ত উন্নয়ন দলিলে এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মূলত ২০২১ থেকে ৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ কী উন্নয়ন করতে চায় এবং কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে, তা তুলে ধরা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এ চূড়ান্ত দলিল প্রস্তুত করেছে।

এ উন্নয়ন দলিলে আরও দেখা গেছে, বর্তমানে মানুষের আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর। ২০৪১ সালে তা ৮০ বছরে উন্নীত হতে পারে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। একইভাবে স্বাস্থ্য বিমার আওতা বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।

যদিও এরইমধ্যে করোনা সংকট মোকাবিলায় ২০২০-২১ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) স্বাস্থ্যখাতে রেকর্ড ১২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ১০ হাজার ৫৪ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে দুই হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। অথচ চলতি বছরের মূল এডিপিতে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ১১০ কোটি টাকা। এ হিসেবে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে চলতি বছরের চেয়ে বরাদ্দ বেড়েছে এক হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যখাত নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। এবার করোনা সংকটে ডাক্তার ও নার্স যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমরাও স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দিয়েছি। স্বাস্থ্যখাতে এবার এক হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দিয়েছি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যাকে টাকা দেব, সে কোথায় কীভাবে খরচ করবে, সেটা। তারা একটা গ্রহণযোগ্য বিশ্বাসযোগ্য ভালো মানের প্রকল্প নিয়ে আসুক। এক্ষেত্রে তার (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) দক্ষতার প্রশ্ন আছে। তার ব্যবহার করার সক্ষমতার প্রশ্ন আছে। আমরা আশা করি স্বাস্থ্যখাত ধীরে ধীরে সক্ষমতা বাড়াতে পারবে। তখন তাদের আরও বেশি বরাদ্দও দেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও