কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এনআইডি সেবা প্রদানে গাফিলতি নয়: সিইসি

বার্তা২৪ প্রকাশিত: ২০ মে ২০২০, ২০:২৫

করোনাকালে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা চালু না থাকলে স্থবির হয়ে পড়তো ব্যাংকিং ব্যবস্থা; তাই সেবা নিয়ে কোনো গাফিলতি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বুধবার (২০ মে) কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) নিয়ে কর্মকর্তাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

এনআইডি অধিকার রক্ষার রক্ষাকবচ উল্লেখ করে সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিয়ে কোনো গাফিলতি করা যাবে না। করোনাকালে এই সেবা চালু না থাকলে স্থবির হয়ে পড়তো ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সব অফিস যখন বন্ধ, তখন নির্বাচন কমিশন এনআইডি সেবা দিচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু নিজেদের কাজ নয়, সরকারি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছে।

জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, এনআইডি ছাড়া করোনাকালো পোশাকশ্রমিকরা বাইরে যেতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তা এনআইডি ছাড়া দেওয়া হচ্ছে। কাজেই এটা রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবন ও জীবিকার টানাপোড়েনের মধ্যে প্রয়োজন সীমাবদ্ধ হতে পারে না। তাই এনআইডি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অনলাইনে এনআইডি ডাউনলোড করে নেওয়ার সেবা চালুর দিনই ৬১ হাজার মানুষ আবেদন করেছেন।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে এনআইডি সেবা একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সবসময়ই একটা সুযোগসন্ধানী শ্রেণি থাকে। কাজেই এ সেবার কেউ যাতে অপব্যবহার করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, ১২ বছর আগে নির্বাচন কমিশনই দেশে সবচেয়ে বড় আইটি প্রকল্প হিসেবে এনআইডি কার্যক্রম শুরু করে। ধীরে ধীরে আরো উন্নত হবে। অনলাইনে এনআইডি সেবা কার্যক্রম শুরু একটা বড় সাফল্য। নির্বাচন কমিশনের মতো ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দেবার মতো দ্বিতীয় আর কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নেই।

তিনি বলেন, এইভাবে প্রবাসীদের ভোটার করা যায় কিনা এবং ভবিষ্যতে অনলাইনে ভোটা দানের জন্য প্রবাসীদের সুযোগ করে দেওয়া যায় কিনা, সেটা নিয়ে আমাদের ব্রেন স্টর্মিং করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, আগে যখন উপজেলা অফিসে আবেদন করে এনআইডি সেবা নিতে যেত, তখন হয়রানি করা হতো। এখন ঘরে বসেই সেবা পেলে সে সমস্যাটা আর থাকবে না।

ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, তিনটি কারণে আমরা অনলাইনে এনআইডি সেবা দিচ্ছি। সময় কমানো, ব্যয় কমানো এবং সেবাগ্রহীতার ভোগান্তি কমাতে এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।

অনলাইনে ভোটার করে নেওয়া, এনআইডি ডাউনলোড সুবিধা প্রদান, সংশোধন, স্থানান্তর সংক্রান্ত সেবা গত ২৬ এপ্রিল চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই সেবা অব্যহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার সিএমএস পরিচালনা পদ্ধতি শেখাতেই দেওয়া হবে এখন প্রশিক্ষণ। তিন সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রমে মোট ২ হাজার ৩২০জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও