কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কালনীর জলে নিভে যাক যত অশুভ আগুন

জাগো নিউজ ২৪ সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২০ মে ২০২০, ১১:০৯

উজানধল গ্রাম এখন খুব পরিচিত একটি গ্রামের নাম। বাউল শাহ আব্দুল করিমের গ্রাম উজানধল। কালনী নদীর তীরে এই গ্রাম। এই নদীর জলে, এই গ্রামের সবুজ ছায়ায়, হাওরের বিস্তীর্ণ প্রান্তরের হাওয়ায় বাউল হয়েছিলেন করিম। এই গ্রামেরই তার শিষ্য রণেশ ঠাকুরের গানের ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে। এ আগুন তো দেয়া হলো বাংলার বাউল চেতনার ঘরে। কিন্তু এই চেতনা, চিন্তা কি আগুনে পোড়ে?

রুহি ঠাকুর ও রনেশ ঠাকুর দুই ভাই। তারা সারাজীবনই শুদ্ধভাবে গেয়েছেন করিমের গান। রুহি ঠাকুর বেঁচে নেই। রণেশ ঠাকুর এখনও গেয়ে চলেছেন গান। করিমের গান। তাদের পিতা ছিলেন উজানধলের কীর্তনীয়া। তাদের পাশের বাড়িই হচ্ছে বাউল শাহ আব্দুল করিমের বাড়ি। তাই স্বাভাবিকভাবেই গানের প্রতি তাদের অনুরাগ। গ্রহণ করেছিলেন বাউল করিমের শিষ্যত্ব। গানই রণেশ ঠাকুরের ধ্যান, সবকিছু।

করিমের সেই গানেরই মতো ‘আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া’। গানই তার নেশা ও পেশা। তাই বোধহয় গানের জন্য তার আলাদা ঘর। গানঘর। সেই ঘরে রাখা ছিল তার বাদ্যযন্ত্র ও গানের বই। সেই সাধনার গানঘর কেউ জ্বালিয়ে দিতে পারে এটা ভাবাই যায় না। খবরে প্রকাশ, ঘরের একপাশে দুটো ভেড়া ছিল। এগুলো বের করে দিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে যারা আগুন দিয়েছে তাদের খুব ক্ষোভ রয়েছে বাউলের বেহালায়, দোতরায়।

এই উজানধলের আকাশের নিচের কোনো মানুষ বাউলের গানঘরে আগুন দিচ্ছে, এটা কোনোভাভেই মেনে নেয়া যাচ্ছে না, মেনে নেয়া যায় না। বাউল করিম গানের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা, শান্তির বার্তা। তিনি গেয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষের গান। গানেই ছড়িয়েছেন প্রেম, ভালোবাসা। তার শিষ্য রণেশ ঠাকুর এই চেতনার ধারক, বাহক। রণেশ ঠাকুরের কণ্ঠেই প্রতিধ্বনিত হয় করিমের সেই গান ‘বিপন্ন মানুষের দাবি করিম চায় শান্তির বিধান’ কিংবা ‘শোষক তুমি হও হুঁশিয়ার’।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও