সংকটে গ্যাস-বিদ্যুৎ বিক্রেতা কোম্পানি
করোনা দুর্যোগে আবাসিক গ্রাহকদের কোনো মাশুল বা সারচার্জ ছাড়াই বিলম্বে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল প্রদানের সুযোগ দিয়েছে সরকার। এতে গত দু'মাসে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ রাজস্ব আদায় না হওয়ায় সংকটে পড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। সূত্র জানিয়েছে, গ্রাহকদের কাছ থেকে বিল আদায় না হওয়ায় বিদেশ থেকে আমদানিকৃত তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে পেট্রোবাংলা। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের বিল পরিশোধ করতে পারছে না বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি।
সরকার জুন পর্যন্ত আবাসিক বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল জরিমানা ছাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এদিকে করোনা দুর্যোগে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপাতত বিল আদায় না করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিলের ওপর সারচার্জ মওকুফ করার কথাও বলছেন শিল্প মালিকরা। অনেকে বিল পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করে চিঠি দিচ্ছে। ফলে আবাসিক বিলের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং শিল্প বিলও ঝুলে যাচ্ছে। করোনা সংকটে সরকারের বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিক্রেতা কোম্পানিগুলোর কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা সুনির্দিষ্ট করে জানাতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, সব সংস্থার মোট ক্ষতির হিসাব বের করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। ঘাটতি মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা কী পদক্ষেপ নিতে পারে, সে বিষয়েও পরিকল্পনা মাফিক পরামর্শ দেওয়া হবে।