পড়ুয়ারা বিপত্তিতে, প্রকাশকরা সঙ্কটে
“বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে বই পড়া। সুতরাং এটি জরুরি বিষয়,” বলছেন অনুবাদ সাহিত্যিক জি এইচ হাবীব।কিন্তু বাংলাদেশে এখনও বইয়ের দোকান যেমন খোলেনি, তেমনি বইয়ের অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোও বন্ধ। গ্রন্থাগার কিংবা পাঠাগানগুলোও বন্ধ রয়েছে। ফলে করোনাভাইরাস মহামারীকালে বই পড়ুয়াদের হা-পিত্যেস থামছে না। অন্যদিকে প্রকাশকরা বলছেন, তারাও পড়েছেন বড় সঙ্কটে; আর আগামী এক বছরেও তারা এই সঙ্কট থেকে উঠতে পারবেন না, যদি না সরকার সহযোগিতার হাত বাড়ায়।
বিশ্বজুড়ে মহামারী আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে দেখা দেওয়ার পর গত ২৬ মার্চ লকডাউন জারি করে সরকার। গণপরিবহন, ওষুধসহ নিত্য ও জরুরি পণ্যের দোকান ছাড়া সব বন্ধ করে দেওয়া হয়। জরুরি সামগ্রীর তালিকায় বই না থাকায় দীর্ঘ ‘লকডাউনে’ পছন্দমতো বই না কিনতে পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করছেন অনেকে।
বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাশ, বাংলাদেশের কর্মী আমজাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিমাসে কিছু না কিছু বই কেনা হয়। গত দুই মাস প্রায় বই কেনা হয়নি। দোকান বন্ধ। আর খোলা থাকলেও যেতাম কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন। “তবে এরকম আপদকালীন সময়ে অনলাইনে বই কেনাকাটার সুযোগ থাকলে আমার মতো পাঠকদের সুবিধা।”চলচ্চিত্র নির্মাতা সাকী ফারজানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি অনলাইন থেকে নিয়মিত বই কিনতাম। তারা ডেলিভারি সার্ভিস বন্ধ রেখেছে। দীর্ঘ সময় ঘরে আছি। কিন্তু নতুন কোন বই-ই কিনতে পারিনি।”