প্রায় ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর
ফুটপাত ও বিভিন্ন মার্কেটে অঅনুমোদিত, নিম্নমানের পিপিই এবং পিপিই’র নামে রেইনকোট বিক্রয় বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পাঠানো আইনি নোটিশের জবাব পাঠিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। নোটিশের জাবাবে জানানো হয়েছে, নিম্নমানের ও অবৈধভাবে পিপিই ও ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ৩০ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে কারাগারে পাঠানো, ১০৬টি মামলা ও প্রায় ৩২ লাখ ৭২ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ মে) নোটিশ প্রদানকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো জবাবে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নিম্নমানের পিপিই ও এ জাতীয় সামগ্রীর উৎপাদন, বিপণন এবং বিক্রি বন্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও অধিদফতরের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে নিম্নমানের পিপিই বাজারজাত বন্ধ করতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের জবাব পেয়েছি। তারা জানিয়েছে, সারাদেশে আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন এবং এ সংক্রান্ত কিছু সার্কুলারও ইস্যু করেছেন।
তবে ফুটপাতে মানহীন পিপিই বিক্রি বন্ধ হয়েছে কিনা এবং তারা বাজার থেকে মানহীন পিপিই সরিয়েছে কিনা তা এখন দেখার বিষয়। এছাড়া অনলাইনে পিপিই বিক্রয় বন্ধে কোনও উত্তর পাইনি। এসব দিকগুলো বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।গত ১৪ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের সরকারি ইমেইলে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে ফুটপাত ও বিভিন্ন মার্কেটে অঅনুমোদিত, পিপিই এবং পিপিইর নামে রেইনকোট বিক্রয় বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে নোটিশে বিভিন্ন অনলাইন শপ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিপিইর বিক্রয় বন্ধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল।