আবারও খুলে দেয়া হলো টাঙ্গাইলের সব মার্কেট-শপিংমল

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২০, ২১:০৩

স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্ব মেনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার শর্তে আবার খুলল টাঙ্গাইলের মার্কেট, শপিংমলসহ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মার্কেট ও শপিংমল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনার শর্তে টাঙ্গাইলের মার্কেট ও শপিংমল রোববার (১৭ মে) দুপুর থেকে খোলার অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শহীদুল ইসলাম।

এর আগে সামাজিক দূরত্ব না মানায় ১৪ মে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাঁচাবাজার আর ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন। প্রতিটি মার্কেট ও শপিংমলের প্রবেশপথে স্থাপন করা হয়েছে জীবাণুনাশক টানেল। দোকানে প্রবেশের আগে প্রতিটি ক্রেতার শরীরে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে। ক্রেতা-বিক্রেতার মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবারও সব মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ করে দেয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদা, রিনা বেগমসহ কয়েক ক্রেতা বলেন, মার্কেট খোলায় আমাদের বাচ্চাদের পোশাক আর জুতা কেনা সম্ভব হয়েছে। এতে বাচ্চাদের মন ভালো হবে। নিউ রোডের ব্যবসায়ী রাজিব বলেন, কয়েকটি উৎসব ঘিরে দোকান মালিকের ব্যবসা আর কর্মচারীদের বেতন-বোনাস নির্ভর করে। ঈদুল ফিতরে ব্যবসার সময়ে চলছে করোনার প্রাদুর্ভাব। দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে না খেয়ে মরার উপক্রম হতো ব্যবসায়ীদের। কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দেয়া সম্ভব হতো না। তাই একটু দেরিতে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়ায় জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

ডিসি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনার শর্তে রোববার দুপুর থেকে মার্কেট ও শপিংমলহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ব্যবসা কার্যক্রম। প্রতিটি মার্কেট ও শপিংমলের প্রবেশপথে স্থাপন করা হয়েছে জীবাণুনাশক টানেল। দোকানে প্রবেশের আগে প্রতিটি ক্রেতার শরীরে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে। ক্রেতা-বিক্রেতার মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপরও ব্যবসায়ীরা যদি স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেন তাহলে আবার সব বন্ধ করে দেয়া হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ ও টাঙ্গাইল চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি খান আহমেদ শুভ। গত ১০ মে থেকে দোকান, মার্কেট ও শপিংমল খুলে ব্যবসা শুরু করেন টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীরা।

খোলার পর থেকেই দোকান, মার্কেট ও শপিংমলে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লেগে যায়। এতে বিঘ্নিত হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়। পরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ১৩ মে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৪ মে থেকে দোকান, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ার দাবি জানান জেলা প্রশাসকের কাছে। রোববার দুপরে জেলা প্রশাসক মার্কেট ও শপিংমল পরিদর্শন করেন। পরে দোকান, মার্কেট ও শপিংমল খোলার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও