শক্তি সঞ্চার করে এগোচ্ছে আম্ফান
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে। এ পর্যন্ত দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরের দিকে ২০-২৫ কিলোমিটার এগিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৭ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ৬-১০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে। তবে এটি আরও শক্তি সঞ্চার করছে। আগামী বুধবারের দিকে এটি আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত হানবে কিনা এখনো ওইভাবে বলা যাচ্ছে না। এখনো অনেক দূরে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমুদ্রবন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। একইসঙ্গে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৪ থেকে ৬২ কিলোমিটার। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। অবস্থা বুঝে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এ সময় দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে।’
ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কয়েকটি ওয়েবসাইটের সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান শক্তি সঞ্চার করছে। এর আশপাশের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। তবে স্থলভাগের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এর গতিবেগ কিছুটা বাড়তেও পারে আবার কমতে পারে। আগামী বুধবারের মধ্যে (২০ মে) কলকাতা ঘেঁষে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে। এ সময় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার হতে পারে। সাতক্ষীরা ও যশোরের দিকে এর প্রভাব পড়তে পারে।