ক্রাইম পেট্রোল দেখে শিশু হত্যা, আসামির স্বীকারোক্তি
ঈশ্বরদীর বাবুলচরা গ্রামে প্রতিবেশীর নয় মাসের শিশু আভিয়া খাতুনকে গলাটিপে হত্যার ঘটনার আসামি সাদিয়া শনিবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। রাতেই তাকে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দির ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ক্রাইম পেট্রোল দেখে আসামি এই অমানবিক ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হালিম জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ১১ মে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ৯ মাস বয়সী মৃত আভিয়াকে তার মা হাতে কলা তুলে দেয়। এসময় প্রতিবেশী আসামি সাদিয়া শিশুটিকে কোলে নিয়ে শিশুটির বাবা আনসারুলের মুরগির খামারে যায়। সাদিয়া সেখান থেকে নিজের বাড়ির ড্রইংরূমে গিয়ে শিশু আভিয়াকে বসায়। সাদিয়া জবানবন্দিতে বলে, শিশুর গলায় কলা আটকে গেলে গলা টিপে কলা বের করতে গিয়ে মারা যায়। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুরগির খামারের বিষ্টার ডোবার মধ্যে শিশু আভিয়াকে লুকিয়ে রাখে। এরপর সাদিয়া শিশুটির বাড়িতে গিয়ে মা মিলি খাতুনকে বলে আভিয়া কোথায় ? তখন মিশুর মা বলেন, তুমিতো আমার মেয়েকে নিয়ে গেলে। সে বলে আমার কাছে তো নাই। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর ডোবার মধ্য হতে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেশী ও থানায় জিজ্ঞাসাবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, শারিরীক ত্রুটির কারণে সাদিয়ার সন্তান হচ্ছিল না। খেলার সময সাদিয়ার স্বামী সোহানের অন্ডকোষ আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় সন্তান জন্মদানে তারও সমস্যা ছিল। পাবনায় উভয়েই চিকিৎসা করালেও লাভ হয়নি। সন্তান না হওয়ায় সাদিয়া বিকারগ্রস্থ হয়েই প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটায়। হত্যাকাণ্ড ও লাশ গায়েবের ক্ষেত্রে ভারতের টিভি চ্যানেলে ক্রাইম পেট্রোল সিরিজে উপস্থাপিত ঘটনা হতে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। কিন্তু পুলিশী তৎপরতায় শেষ রক্ষা হয়নি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.