তালিকায় নাম আছে, কিন্তু কার্ড–চাল কিছুই পাননি তাঁরা
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় নাম আছে কিন্তু কার্ড পাননি ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রির চর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অন্তত ২২ হতদরিদ্র পরিবার। তাঁদের নামে বরাদ্দের চাল তুলে আত্মসাৎকরা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিক্রির চর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান মিয়া গত বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ডিক্রির চর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করে আসছেন। চেয়ারম্যান সরকার নির্ধারিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের কার্ড নিজের কাছে রেখে ডিলারদের সহযোগিতায় চাল আত্মসাৎ করছেন। লিখিত অভিযোগের সঙ্গে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ২২ জনের কার্ডের নম্বরসহ একটি তালিকা সংযুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত করে উপকারভোগীরা যাতে ন্যায্য হিস্যা পায় তাঁর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ওই ইউনিয়নের আরেক ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান খান বলেন, এই ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এক হাজার ২০০ উপকারভোগী আছেন। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ থেকে শুরু করে গত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দফায় প্রতি উপকারভোগীকে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু উল্লেখিত ২২ জন কোনো চাল পাননি। তিনি আরও বলেন, ওই ২২ জনের তালিকার ৪৪১ নম্বরে নাম আছে ইয়াকুব আলীর। তিনি খবির মুন্সীর ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দেড় বছর আগে তিনি মারা গেছেন। ৪৭১ নম্বর কার্ডধারী জয়নাল ফকির (৬১) বলেন, 'খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড আমাকে দেওয়া হয়নি। আমি খুব কষ্টে সংসার চালাচ্ছি। স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে কষ্টে আছি।' ৪৯২ নম্বর কর্ডধারী আলেয়া বেগম (২৫) কাদের মাস্টারের ডাঙ্গী গ্রামের জাহিদ শেখের স্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাগো কোনো কার্ড দেওয়া হয়নি। কার্ড পাইলে উপকার হইতো।'
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.