আতর, টুপি, জায়নামাজের কথা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০, ১০:৫২

সবাই কি যাবেন বায়তুল মোকাররম বা নিউমার্কেটে। করোনা এই সব ব্যবসায়ীর জীবনকেও দুর্বিষহ করে তুলেছে। জায়নামাজ ‘আমি একাই রওনা হয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ছিল না কোনো কাফেলা, না সঙ্গীসাথি। কিন্তু একটা আহ্বান আমাকে পেয়ে বসেছিল। আমি পৌঁছাতে চেয়েছিলাম আমার দীর্ঘ লালিত গন্তব্য মক্কা ও মদিনায়।’ জুন ১৩২৫। ২১ বছরের এক উদ্ভিন্ন যুবক বেরিয়ে পড়েন পৃথিবীর পথে। ৩০ বছর ঘোরেন ‘দেশে দেশে মোর দেশ আছে’ ভাবনায়। বাড়ি ছাড়ার সময় তাঁর কাছে ছিল যৎসামান্য অর্থ ও একটি জায়নামাজ। এই যুবক আর কেউ নন, বরং বিশ্ববিশ্রুত পর্যটক ইবনে বতুতা। এ গল্প তাঁকে নিয়ে নয়, বরং জায়নামাজ নিয়ে। সামনে ঈদুল ফিতর। বাঙালির ক্রয়তালিকায় অবশ্যই এটা থাকে, পরিবারে ব্যবহার কিংবা মুরব্বিদের উপহার দেওয়ার জন্য। জায় মানে মাটি বা জমি। আর নামাজ। শব্দ দুটোই ফারসি। এই উপমহাদেশে ফারসি ভাষার প্রভাব অনেক বেশি। একসময় রাজভাষাও ছিল। তাই আজও আমাদের কাছে খোদা আর পয়গম্বর, নামাজ ও রোজা অনেক প্রিয় এর অন্য প্রতিশব্দের চেয়ে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জায়নামাজে নামাজ পড়তেন। সেই জায়নামাজকে বলা হতো খুমরাহ। খেজুরগাছের আঁশ থেকে এই জায়নামাজ তৈরি হতো। আরবরা এখন যেগুলো ব্যবহার করে, সেগুলো সাজ্জাদা বা মুসল্লা নামে পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে রাজা-বাদশাহরা রাজশিল্পীদের দিয়ে জায়নামাজের নকশা করিয়েছেন। শ্রেষ্ঠ বয়নশিল্পীরা সেসব বুনেছেন। আর সেই অনিন্দ্য জায়নামাজে নামাজ পড়েছেন তাঁরা। আবার অনেক সময় এই জায়নামাজ হয়েছে শিল্পীর ক্যানভাস। পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে ইতালির রেনেসাঁ শিল্পী জিওভান্নি বেল্লিনি, ভিত্তোরে কারপাচ্চিও এবং লোরেঞ্জো লোত্তো তুরস্কের জায়নামাজকে তাঁদের ক্যানভাস করেন। ইরানে সেই চতুর্দশ শতাব্দী থেকেই দারুণ সব জায়নামাজ তৈরি হয়েছে। পারস্যের গালিচাশিল্পীরা বুনেছেন নানা ধরনের জায়নামাজ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও