পরিবেশনায় পরিপাটি
এই করোনাকালে ঈদের দিন ঘরোয়া আমেজে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছোট আয়োজন তো থাকতেই পারে। ঈদের দিন বাড়িতে থাকা বাসনকোসন ও টেবিল সজ্জার উপকরণ দিয়েই আপনি নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করতে পারেন। টেবিল সাজানোর জন্য প্রথমেই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ঘরে থাকা উপাদানে সাজাতে পারেন ঈদের দিনের টেবিল। খাবার টেবিলের আকার ও রঙের ওপর নির্ভর করে তার সজ্জার বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে হবে। খাবার ঘরে বেশি জায়গা থাকলে টেবিলের স্থান পরিবর্তন করলেও আসবে ভিন্নতা—এমনটাই জানালেন অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরীন চৌধুরী। এ ছাড়া ঘরে থাকা বাসন ও অন্য উপকরণ দিয়ে টেবিলে পরিবর্তন আনতে দিয়েছেন কিছু পরামর্শ। এখন গ্রীষ্ম। তাই প্রকৃতিতে গরমের প্রাধান্যও বেশি। ঈদের সকালের সময়টাতে তাই টেবিলে সাদা রঙের ক্লথ শুভ্রতা ও আরামদায়ক অনুভূতি দেবে। তবে এই সময়ে বাসায় সাদা টেবিল ক্লথা না থাকলে যেকোনো বিছানার সাদা চাদর বা সাদা ওড়না ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া পুরোনো জামদানির পাড় বা ফেলে রাখা শাড়ি কেটে নকশা করতে পারেন। টেবিল ক্লথ যেহেতু সাদা তাই খাবার পরিবেশনের বাসন হওয়া চাই একটু রঙিন। ঘরে থাকা রঙিন বাসন ভিন্ন রূপ এনে দেবে। রঙিন সিরামিক বা মেলামিনের বাসনে সকালের নাশতা পরিবেশন করতে পারেন। চামচ ব্যবহার করতে পারেন সিরামিকের বা কাঠের। টেবিলে সামান্য স্নিগ্ধতা আনতে পারে ফুল। তবে বাইরে গিয়ে নয়, বরংআপনার বারান্দায়, ছাদে বা বাগানে ফোটা ফুল বা শুধু সবুজ পাতাও পানিতে ধুয়ে এক কোণে সাজাতে পারেন। দুপুরের খাবার পরিবেশনের আগে টেবিল ক্লথটা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। কারণ টেবিল সাজাতে টেবিল ক্লথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এ সময়ে একটু ভারী খাবার পরিবেশন হবে তাই টেবিল ক্লথের রং হতে পারে হালকা গোলাপি বা নীল ধরনের। ক্লথ না থাকলে একই রকম ভাবে এই রঙের নকশা বা ছোট ফুলের ছাপা চাদর বা ওড়না বিছানো যাবে অনায়াসে। আর সব সময়ে ব্যবহারের সময় প্লাস্টিকের টেবিল ম্যাট বিছিয়ে নিলে পরিষ্কার করাও সহজ হবে।