কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা সংক্রমণ: শুধু অক্সিজেনেই বাঁচানো যাবে শত শত জীবন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২০, ২২:০০

বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালের অফিস রুমে বসে। টেলিফোন বেজে উঠল। টেলিফোনে কান্নায় ভেঙে পড়ল আমার ২৫ বছরের সহকর্মীর স্ত্রী মার্টিনের অবস্থা খুব খারাপ। মার্টিন আমাদের ইনটেনসিভ কেয়ারের পরিচালক ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। এখন সে মৃত্যুশয্যার। তিন দিন আগেও তাঁর সঙ্গে চা খেয়েছি এই রুমে বসে। এটাই বাস্তবতা এখন এলমহার্স্ট হাসপাতালের।বিশ্বের রাজধানী নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র। এখানেরই একটি ছোট্ট হাসপাতাল এলমহার্স্ট। শত শত রোগীতে ভরে গেল এক সপ্তাহের মধ্যে। সাদা, কালো, বাঙালি, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান—কাউকে ক্ষমা করেনি এ করোনাভাইরাস। আবারও প্রমাণিত হলো, মানুষ সবাই সমান। করোনা ভাইরাসকে নিয়ে সারা বিশ্ব আতঙ্কিত, সংগত কারণেই। এখন পর্যন্ত আমরা সঠিকভাবে জানি না এ ভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, শেষ কোথায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাদুড় থেকে প্যাঙ্গোলিন নামে এক ধরনের প্রাণীর শরীরে এ ভাইরাস সংক্রামিত হয়। সেখান থেকে আসে মানুষে। ডিএনএ সিকোয়েন্সে পাওয়া গেছে এ পদচিহ্ন। ডিএনএ সিকোয়েন্সের মাধ্যমে আরও জানা গেছে, এ ভাইরাস মানুষের তৈরি না। ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে এ ভাইরাস তৈরি হয়েছে সাধারণ করোনাভাইরাস থেকে। এটা জীবাণু অস্ত্র না, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। এ ভাইরাসের সব থেকে মারাত্মক দিক হলো, বড় বেশি সংক্রামক। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে একজন থেকে আরেক জনে। সুখবর হলো, এ ভাইরাসে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কম। একজন সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ হিসেবে খুব কাছ থেকে দেখলাম এ ভাইরাসের ক্ষমতা। অচল হয়ে গেল সাজানো সভ্যতা, বন্ধ হলো দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য, উপাসনালয়। আমরা চিকিৎসক। মা-বাবা মৃত্যুশয্যায়, বাসায় ছোট বাচ্চারা একা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও