কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কৃষকের গলায় বেধে আছে তরমুজ

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২০, ১০:১৯

তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে পটুয়াখালীতে। তবে যান চলাচল বন্ধ থাকা ও শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। আগাম জাতের তরমুজ বিভিন্ন খেতে পাকতে শুরু করেছে। কিছু কৃষক এগুলো বাজারজাত করলেও দাম কম থাকায় দিশেহারা কৃষক। গলাচিপা দরিবাহের চর এলাকার কৃষক আদুস ছালাম সরদার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে দাম পাই না। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। একই এলাকার কৃষাণী ফাহিমা বেগম বলেন, ৩ কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। প্রতি কানিতে জমি আর ওষুধে খরচ ১ লাখ, বদলায় ৫০ হাজার। যদি করোনাভাইরাস না হতো তাহলে এগুলো ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু এখনতো চালান আসছে না। ঢাকায় যেতে গাড়িভাড়া ৭০ হাজার টাকা, সড়কের চাঁদা, লেবার খরচ। এখন খরচ উঠবে কি না তাই সন্দেহ। তিনি আরও বলেন, নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে চললে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে। কিন্তু তরমুজ বিক্রি করতে না পারলে কৃষক টাকার শোকে মারা যাবে। করোনায় ধরলে যা হবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে এরকম চলতে থাকলে। গলাচিপা চরের কৃষক মো. সোবহান বলেন, গত বছর একশ তরমুজ ৩০ হাজার টাকায় খেত থেকে কিনে নিয়ে গেছে। এখন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে কষ্ট হচ্ছে। রাঙ্গাবালী চরমোন্তাজ এলাকার তরমুজ চাষি মো. মনির হোসেন বলেন, আমাদের চার পাশে নদী। এখানে একমাত্র বাহন লঞ্চ। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে। তরমুজ পেকে গেছে এখন কাটতে হবে। কিন্তু নিয়ে যে যাবো তা সম্ভব না। সব কিছু বন্ধ। এ কারণে খেতেই তরমুজ পচছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত বলেন, তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষক তরমুজ কাটা শুরু করেছে। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাজারজাত করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। যদি এক সপ্তাহের মধ্যে আগের অবস্থা ফিরে আসে তাহলে কৃষক ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও