কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভাসমান যৌনকর্মীদের করোনার কাল

প্রথম আলো কুর্‌রাতুল-আইন-তাহ্‌মিনা প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০৯:১৭

তাঁর সঙ্গে দেখা হলো রাজধানীর গোপীবাগে, ভাসমান যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্জয় নারী সংঘের অফিসের একটি ঘরে, বুধবার সকালে। ছোট্ট ঘরটার মেঝেতে পাতা বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে তিনি কাতরাচ্ছিলেন। আগের রাতে আরেকটি মেয়ের সঙ্গে দয়াগঞ্জ এলাকায় কাজ খুঁজছিলেন। তিনটার দিকে র‌্যাব-পুলিশের সদস্যরা গাড়িতে তুলে তাঁদের যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। ঊরুতে লাঠির বাড়ি পড়েছে, গালে কয়েকটা চড়। সঙ্গে ৩০০ টাকা ছিল। অন্য মেয়েটির ঘরের পুরুষ এসে আরও ৭০০ টাকা দেন। তারপর নাকি তাঁরা ছাড়া পান। করোনোভাইরাসের কারণে রাস্তায় নামা নিষেধ, রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি আছে—এসব কথা তিনি জানেন, কিন্তু ‘প্যাটে তো খাওন দিতে হবে!’ আটককারী একজন নাকি বলেছিলেন, ‘এক মাসের জন্য ঘরভাড়া মাফ করা হয়েছে তার পরও রাস্তায় আসিস?’ আমি বললাম, ‘আমার তো বাসা নাই। তাইলে কোথায় থাকব?’ দুর্জয়ের সঙ্গে ভাড়া ভাগাভাগি করে ঘরটিতে একটি ড্রপ-ইন-সেন্টার বা ডিআইসি চালান সংগঠনের একজন নেত্রী রিনা। এনজিও লাইটহাউস তাঁকে সহায়তা করে। ডিআইসিতে রাতে থাকা যায় না। যাঁদের ঘর ভাড়া করার সামর্থ্য নেই, তাঁরা এখানে দিনটা কাটান। রাত কাটে রাস্তায়। তিন বেলা খাওয়ার জন্য রিনা দেড় শ টাকা নেন। মার খাওয়া মেয়েটি সেদিন শুধু দুপুরের জন্য ৫০ টাকা দিতে পেরেছেন। রান্নাঘরে ছোট হাঁড়িতে সাদা ভাত ফুটছে। রিনা নিজেও এই পেশায় আছেন। বললেন, বাড়িওয়ালা ভাই বলেছেন, যৌনকর্মীরা ‘ইন টোটাল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী’। তাঁদের এখন আসা চলবে না। তাই দিনের আশ্রয়কেন্দ্রটি ২১ থেকে ২৭ মার্চ বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু রিনার নিজের কিছু আয় দরকার, মেয়েদেরও বিরামের জায়গা দরকার। তাই ২৮ মার্চ এটা খুলে দেন। সেদিন চারজন মেয়ে আসেন। খেয়েছেন মাত্র একজন। তাঁদের কাছে টাকা ছিল না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও