৩০ লাখ টাকায় মেয়েকে হত্যার অনুমতি দেন বাবা, জানতেন মা–ও
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাবাই তাঁর দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে হত্যার অনুমতি দিয়েছিলেন। নরসিংদীর বাহেরচরে চাঞ্চল্যকর ইলমা হত্যাকান্ডের পলাতক আসামি মাসুম মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি এক সংবাদ সম্মেলনে আজ সোমবার এ কথা জানায়।বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইলমা খুন হন ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ। এই ঘটনায় বাদি হয়ে ইলমার বাবা আবদুল মোতালেব নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন।পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপমহাপরিদর্শক (সংঘবদ্ধ অপরাধ বিভাগ) ইমতিয়াজ আহমেদ সিআইডির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইলমা তার বাবার লোভের বলি হয়েছিল। নরসিংদীর বাহের চরে শাহজাহান ভূঁইয়া ও সাবেক মেম্বার বাচ্চুর নেতৃত্বে দুটি দলের প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। শাহজাহান ভূঁইয়ার লোকজন প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে শিশু হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর বিনিময়ে তিনি ইলমার বাবা আবদুল মোতালেবকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। টাকার লোভে ইলমার বাবা মেয়েকে হত্যার অনুমতি দেন। এ পর্যন্ত ইলমার বাবা চারলাখ টাকাও পেয়েছেন। হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি মাসুম মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। মাসুম শিশু ইলমার ফুপাতো ভাই। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরার নেতৃত্বে একটি দল নরসিংদীর মাধবদী থেকে ইলমার বাবা আবদুল মোতালিব, ফুপাত ভাই মাসুম মিয়া, গ্রুপ লিডার শাহজাহান ভূঁইয়া, মা মঙ্গলী বেগম ও মো. বাতেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর মাসুম মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম বলেন, ইলমাকে হত্যার পরিকল্পনা হয় ২০১৫ সালের ১ মার্চ। ওই রাতে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তাতে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে ইলমার বাবাকে সন্তানের বিনিময়ে ৩০ লাখ টাকার টোপ দেওয়া হয়। ওতেই রাজি হয়ে যান তিনি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় ইলমার দুলাভাই বাবুল বাড়ির পাশে নূরার দোকান থেকে তাকে জিনিসপত্র কিনতে পাঠান। বাড়ি ফেরার পথে এই দুলাভাই বাবুল ও ফুপাতো ভাই মাসুমের নেতৃত্বে সাত-আট জন তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ইট ও মুগুর দিয়ে মাথা থেঁতলে ও গলা টিপে তাকে হত্যা করা হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.