অনুপ্রবেশকারীদের আওয়ামী লীগে স্থান নেই: আমু
শেখ হাসিনা যাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তাদের দলে কোনো স্থান নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তরুণ প্রজন্মের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে, তাই নতুনদের স্থান করে দিতে হবে। টাকাওয়ালা ও বিত্তশালী অন্য দলের লোক আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নেই। নতুনদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব সৃষ্টি করে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। গতকাল বিকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বন্দুকের নলের জোড়ে জিয়া ও এরশাদ ক্ষমতায় এসেছিলেন দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, তারা দুই জনই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কিন্তু উত্তর বঙ্গের মঙ্গা দূর করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসায় তা দূর হয়েছে। এখন সব শ্রেণির মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। এখন গ্রামে গ্রামে মানুষ নানা রকম ভাতা পাচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে । এখন আর কাউকে না খেয়ে থাকতে হয় না। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বর্তমান সরকার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, ১৯৭৮ সালে স্যাটেলাইট স্থাপনের চিন্তা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু সেই স্যাটেলাইট ৩০ বছর পরে স্থাপন করতে হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, মেট্রো রেল স্থাপন হচ্ছে, উড়াল সেতু হচ্ছে, পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এসব কিছু সম্ভব হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইউনুস লস্কর প্রমুখ। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তছলিম উদ্দিন চৌধুরীকে পুনরায় সভাপতি ও অ্যাডভোকেট ইউনুস লস্করকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় অ্যাডভোকেট হোসেন আকন খোকনকে।