অসম প্রেম ও একটি খুনের গল্প ...
রাত তখন ৪টা বেজে একচল্লিশ মিনিট। ওসি সাহেবের মোবাইল বেজে ওঠে রিং টোনের শব্দে। ঘুম চোখেই ফোন রিসিভ করে জানতে পারেন পৌরসভার এক বাসায় ডাকাতি হয়েছে। গৃহকর্তা ডাকাতদের হাতে খুন হয়েছে এবং গৃহকর্তী ডাকাতের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাড়ে তিনটার সময় ওসি সাহেব থানার টহল ডিউটি তদারকি করে ফিরেছেন বাসায়। এক ঘণ্টা যেতে না যেতে ঘুম চোখেই থানার সকল টহল দলকে নির্দেশনা দেন ঘটনাস্থলে দ্রুত যেতে। নিজেও ছুটে যান ঘটনাস্থলে। ঘরে খাটের উপর পড়ে আছে গৃহকর্তার নিথর দেহ। বুকে পাঁচটি ধারালো ছুরির আঘাতের চিহ্ন। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয়ে বিছানা গেছে ভিজে। পাশেই পড়ে আছে রক্তাক্ত ছুরি। ছোট্ট তিনটি শিশু সন্তান কাঁদছে বাবার মৃত দেহ দেখে। উপস্থিত লোকজন হাহুতাশ করছে, কেউবা শোকে কাঁদছে অঝোরে। গৃহকর্তা মাহবুবুর রহমান (৩৮) কমলাপুর রেলস্টেশনের একজন কর্মচারী। থাকেন তেজগাঁও এলাকায় ব্যাচেলর বাসায়।