কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আছে সফল গল্প নেই জাতীয়করণ স্বীকৃতি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের শান্তিনগর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ দাবি বাস্তবায়ন হয়নি দীর্ঘদিনেও। জাতীয়করণে সরকারের নীতিমালার প্রায় শতভাগ বাস্তবায়িত হলেও জুটছে না সরকারি স্বীকৃতি। ভবন, অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি জাতীয়করণ না হওয়ার ফলে বিদ্যালয়টির শিক্ষাকার্যক্রমে নানা জটিলতা বিরাজমান। ১৯৯৮ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়কে জাতীয়করণে সরকারের সব চেকলিস্ট জমা দিয়েও সরকারি সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয় হতে দূরে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সরজমিন জানা যায় শান্তিনগর, মুজিবনগর, কাঁঠালটিলাসহ আশপাশের গ্রামের জনসাধারণের উদ্যোগে এ বিদ্যাপীঠ যাত্রা শুরু করে ১৯৯৮ সালে। পশ্চিমে ২ কিলোমিটার দূরে মুসলিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব দিকে ২ কিলোমিটার দূরবর্তী নলজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়ায় এই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম বিঘ্নিত হয়ে আসছে। শিশু ঝরে পড়াও এক সময় ছিল নিত্যকার ঘটনা। পাহাড় আর টিলা শ্রেণির এ গ্রামগুলোর ক্যাচম্যাপ এরিয়ায় আর কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠদান চালিয়ে নিচ্ছে অত্যন্ত কষ্ট আর ভোগান্তির সঙ্গে। ৩৩ শতক ভূমির উপর জরাজীর্ণ টিন শেডের একটি ঘরে অফিস, ৩ শ্রেণিকক্ষ বিশিষ্ট শান্তিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থী ১৯০ জন। তাদের পাঠদানে আছেন ১ জন পুরুষ আর ২ জন নারী শিক্ষক। বিদ্যালয়ের অফিস সূত্রে জানা যায় বিদ্যালয়টি জাতীয়করণে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই যাবতীয় কার্যক্রম চলে আসছে। ভূমি, আসবাবপত্র অবকাঠামোগত চিত্রসহ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করতে সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেেিশক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি ৯ই আগস্ট ২০১৫ সালে একটি ডিও লেটার প্রেরণ করেন। এরই আলোকে সরকারের উপ-সচিব নুসরাত ইয়াসমিন বিদ্যালয়টির যাচাই-বাছাই কমিটির মতামতসহ ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে পত্র প্রেরণ করেন। ২০১২ সালে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলোর যে তালিকা প্রেরণের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দেয়া ১৪টি বিদ্যালয়ের নাম তালিকাতে এ সময় উক্ত বিদ্যালয়ের নামসহ তালিকা পাঠানো হয়। পরে ২০১৬ সালের ৯ই মে তৎকালীন সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ জাতীয়করণে যাচাই-বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত বিদ্যালয়টি জাতীয়করণে সুপারিশও করা হয়। সরজমিন পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়টির নানা শূন্যতার চিত্র ফুটে উঠে। ভবন নেই, বেঞ্চসহ নেই আসবাবপত্রও। জরাজীর্ণ ভবনটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন নেই অর্থাভাবে। তাছাড়া বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটি কালভার্ট না থাকায় বর্ষা মৌসুমে এ বিদ্যাপীঠের ছাত্রছাত্রীদের পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। বিদ্যালয়টি সৃষ্টির পর অদ্যবধি সফলতার স্বাক্ষর বহন করে আসছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবকটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৯৮%-১০০% হারে ফলাফলের নজির রয়েছে। প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি এবং আমাদের চাকরি জাতীয়করণে আমরা সরকারের সব নির্দেশনাই মেনে আসছি। আমরা আশাবাদী অচিরেই এ ব্যাপারে কর্র্তৃপক্ষই ব্যবস্থা নেবেন। এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী আলো, আব্দুর রশিদ, রেশমিরা জানায় আমাদের বিদ্যালয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই। এটা আমাদের মৌলিক অধিকার। শান্তিনগর গ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী ইসমাইল আলী জানান, শুরু থেকে অদ্যবধি এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। জাতীয়করণ স্বীকৃতিসহ ভবনসহ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে এলাকার শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ করে দিতে তিনি সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল মিয়া জানান, শান্তিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ব্যাপারে আমরা অবহিত আছি। এ বিদ্যালয় জাতীয়করণে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি জানান, সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনে বর্তমান সরকার রোল মডেল। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হয়ে কাজ করছে। শান্তিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ প্রক্রিয়াও দ্রুততায় এগিয়ে চলছে। নীতিমালা অনুসারে আগামীতে এ বিদ্যালয়টিও জাতীয়করণ হবে। সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে অগণিত প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্কুল ফিডিং, উপ-বৃত্তি, মিড ডে মিলসহ নানা শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগ সফলতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিলেট-৪ আসনেও অগণিত নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নতুন ভবনসহ শিক্ষাক্ষেত্রে অগণিত উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও