ভারতের দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সব মসজিদে নির্বিঘ্নে তাবলীগ কার্যক্রম পরিচালনা এবং মার্কাজ মসজিদ হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল সকালে শহরের মেড্ডা এলাকায় জেলা মার্কাজের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে বলা হয়- দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি নিয়ম মেনে তাদের তাবলীগের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মহল তাদের বাধা দিচ্ছে। নানা সময়ে তারা বিভিন্ন মসজিদ থেকে তাদের জামাতকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে হানাহানির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু বারবারই ধৈর্য্য ধরে তারা সংঘর্ষ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে লিখিত বক্তব্যে প্রভাষক মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, ২০শে নভেম্বর বিকালে অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম তার নিজ মহল্লার (পশ্চিম পাইকপাড়া) মসজিদে কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে দোয়া করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। দোয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৭০-৮০ জন মাদ্রাসা ছাত্র এসে মসজিদে ঢুকে আক্রমণ করেন। এ সময় তারা আবদুর রহিমের ওপর হাত তুলেন এবং ধাক্কাধাক্কি করেন। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু এসব ঘটনায় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় তাদের সাহস দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ওই ঘটনার রাতে তারা জেলা প্রশাসকের বাসভবেন গেলে তিনি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটি জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা বলে তাদেরকে এড়িয়ে যান। বলেন, আমরা এর কোনো সমাধান দিতে পারবো না। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কি তাহলে আলাদা কোনো রাষ্ট্র? এখানে কি বাংলাদেশের সংবিধান প্রয়োগযোগ্য নয়? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ কি সংবিধানের মৌলিক অধিকার ভোগ করবে না? তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল মসজিদে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়াসহ জেলা শহরের বিরাসার এলাকার মার্কাজ মসজিদ তাদের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে তাবলীগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা আনিসুর রহমান ও আবদুল আহাদসহ মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.