ধামরাইয়ে সরকারি ঘর জুটলো না বিধবা শুকুরজানের ভাগ্যে
ঘরের কষ্ট বড়ই কঠিন কষ্ট, বৃষ্টিতে ভিজি, রোদে পুড়ি, সামনে আসতেছে শীত কনকনে বাতাস যখন ঘরে ঢুকে শরীরে লাগে তখন আর সহ্য করতে পারি না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই অন্যের জমিতে চারটি পুরাতন টিন দিয়ে ছাপড়া তুললেও ছাপড়ার চারপাশে টাকার অভাবে ভালোভাবে বেড়া দিতে পারি নাই। কোনো রকম, একপাশে পলিথিন আর পাট খড়ির বেড়া দিয়ে কোনোভাবে দিন কাটাই। একটি মাত্র ছেলে বিয়ে করে থাকে শ্বশুরবাড়িতে। আমাকে দেখে না। চেয়ারম্যানকে অনেকদিন বলার পর গত বছর থেকে বিধবা ভাতার বই করে দিয়েছে। এখন সরকারের এই টাকা দিয়েই জীবন চলে আমার। সরকার গরিবদের জন্য ঘর করে দিয়েছে। কিন্তু সেই ঘর আমার ভাগ্যে জুটেনি। এমনি আবেগ ভরা কষ্টের কথা বললেন ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামের বিধবা শুকুরজান। জানা গেছে, ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া হাত কোড়া গ্রামের শুকুরজানের স্বামী আবুল বাশার মারা যাওয়ার পর তার ভাইয়ের সামান্য জমিতে ছোট একটি ঘরের মধ্যে রান্না, একপাশে পায়খানা, আর পাশেই রাত কাটান তিনি। তার এমন ঘরের কষ্টে বসবাস করা প্রতিটি মানুষকে নাড়া দেয়। ধামরাই প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ধামরাইয়ের উপজেলায় হতদরিদ্র বিধবাসহ বিভিন্ন জনের জন্য ২৩৮টি ঘর বরাদ্দ করে সরকার। আর প্রতি ঘর নির্মাণে ১ লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু সরকারের এ ঘর বরাদ্দকরণ কর্তারা অনেকটাই অনিয়মের মাধ্যমে তা বরাদ্দ করেছেন। অনেকের বাড়িতে পাকা ঘর রয়েছে তাদেরও দেয়া হয়েছে এ সরকারি ঘর। কিন্তু শুকুরজানের মতো বিধবা মহিলার ভাগ্যে জুটেনি সরকারি ঘর। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ধামরাইয়ে ২৩৮টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। আর তা দেয়া হয়েছে ধনীদের। তৎকালীন ধামরাইয়ের ইউএনও আবুল কালাম সরজমিন পরিদর্শন না করেই অনিয়মের মাধ্যমে এ ঘরগুলো বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- সরকারি বাড়ি
- ঢাকা