৩ এমপিসহ ১০৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুদক
ক্যাসিনো কেলেংকারি, ঘুষ-দুর্নীতি, দখল, টেন্ডারবাজি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৩ এমপিসহ ১০৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুদক।রোববার দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউ’র মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ১০৫ জনের নাম ঠিকানা ও পদবী উল্লেখ করে তাদের সমুদয় ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুদককে সরবরাহ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এই তালিকায় আছেন তিন এমপি, ইসমাইল হোসেন সম্রাটসহ যুবলীগের দুই ডজন নেতা, ছাত্র লীগের সাবেক একাধিক নেতা, একাধিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর, স্বেচ্ছা সেবক লীগের মোল্লা আবু কাউসার, গণপূর্তের শীর্ষ পর্যায়ের প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক নেতা। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হয়েছে। মামলায় অনেকের অবৈধ সম্পদের পূর্নাঙ্গ বিবরণ দেয়া সম্ভব হয়নি। সে কারণে তদন্তে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় দুদক। এ ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য সংগ্রহের অংশ হিসেবে তাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।অবৈধ সম্পদের মামলায় তদন্তের অংশ হিসেবে যাদের ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- যুবলীগের ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভুইয়া, এনামুল হক আরমান, জিকে শামীম, গেন্ডারিয়া থানা আওয়া লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু, যুগ্ম সম্পাদক রূপন চৌধুরী, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাশেদুল হক ভুইয়া, ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাতেনুল হক ভুইয়া, মো. জহুর আলম, হারুনুর রশিদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোমিনুল হক সাঈদ, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগের বহিস্কৃত দপ্তর সম্পাদ আনিসুর রহমান আনিস, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারিকুজ্জামান রাজিব, মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভুইয়া, অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান। এদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলার তদন্তকাজ চলছে।এ ছাড়া অনুন্ধানের স্বার্থে যাদের ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী, সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, কমলাপুর আইসিডি’র কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসান, সহকারী কমিশনার কানিজ ফারহানা শিমু, আবুল কাশেম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তুহিনুল হক, ঢাকা দক্ষিণ ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ওরফে ম্যাজিক রতন, ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঈনুল হক মঞ্জু। তালিকায় রয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎফল কুমার দে, আবদুল হাই, হাফিজুর রহমান মুন্সী, নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক মধূ, শওকত উল্লাহ, ফজলুল হক, রোকন উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, স্বপন চাকমা, ইলিয়াস আহমেদ ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মোমিন চৌধুরী, সাজ্জাদ, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার সিনিয়র সহকারী প্রধান মুমিতুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর সরকার, যুবলীগ দক্ষিণের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন মনা, যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন স্বপন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, ছাত্র লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি এসএম রবিউল ইসলাম সোহেল, যুবলীগ নাখাল পাড়া-তেজগাঁও শাখার কাজল, দেশের বাইরে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও নাদিম, মেসার্স জামাল এন্ড কোং এর ঠিকাদার জামাল হোসেন, আফসার উদ্দিন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহাম্মুদ জুনায়েদ, এসএম আজমুল হোসেন, ব্রজ গোপাল হালদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজা কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদার, শরফুল আওয়াল, মগবাজার টিএন্ডটি কলোনীর জাকির, নয়াটোলার সেন্টু, শোভন, বাড্ডার নাসির, বনানী গোল্ড ক্লাবের আবদুল আওয়াল, আবুল কাশেম, ওয়ান্ডার্স ক্লাবের আবুল কালাম, শিক্ষা অধিদপ্তরের ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম, ঢাবি এফ রহমান হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, পদ্মা এসোসিয়েটস ইঞ্জিনিয়ার্সের ঠিকাদার মিনারুল চাকলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, যুব লীগের গাজী সারোয়ার বাবু, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্সের ঠিকাদার রেজোয়ান মোস্তাফিজ, বান্দরবানের সিলভান ওয়াই রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মন্টু, এমডি ফজলুল করিম চৌধুরী স্বপন, পরিচালক এম মহসিন, উম্মে হাবিবা নাসিমা আক্তার, জিয়া উদ্দিন আবীর, জাওয়াদ উদ্দিন, জিকে শামীমের সহযোগী জিয়া, নাঈম, ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাবিবুল হক তামিম, শাহেদুল হক, তার স্ত্রী সারিনা তামান্না হক, স্বেচ্ছা সেবক লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক কেএম মাসুদুর রহমান, তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার লুনা, বাবা আবুল খায়ের খান, মা রাজিয়া খান, যুব লীগ দক্ষিণের সহসভাপতি মুরসালিক আহমেদ, তার স্ত্রী কাওসারী আজাদ, বাবা আবদুল লতিফ, মা আছিয়া বেগম, বহিষ্কৃত যুব লীগ নেতা কামরান প্রিন্স মোহাব্বত, যুবলীগের আকিয়ার রহমান দীপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান, কেন্দ্রীয় সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কায়সার আহমেদ, যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী, খাদ্য পরিদর্শক খোরশেদ আলম।