ডুমুরিয়ায় মহাসড়কে নেই ট্রাফিক সাইন
ডুমুরিয়া উপজেলার মহাসড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা কিছুতেই যেন রোধ করা যাচ্ছে না। অত্র উপজেলার মধ্যে রয়েছে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এই মহাসড়কের মধ্যস্থানে অবস্থিত চুকনগর শহর এই শহরকে বলা হয় খুলনা জেলার বাণিজ্যিক শহর আর এই মহাসড়কের অধিকাংশ দুর্ঘটনা এই চুকনগর এলাকাতেই ঘটে। কেউ কেউ এই শহরকে বলে ট্রানজিট কারণ এটি খুলনা-সাতক্ষীরা ও যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মিলনস্থান। চুকনগর শহরের চৌরাস্তা মোড়ে সবসময় যানজট লেগেই থাকে কারণ এই মোড়ে বিশেষ করে চুকনগর-খুলনা ও চুকনগর- সাতক্ষীরা রোডের হাইওয়ের জায়গায় বসিয়ে দিয়েছে মাংস বিক্রির খাটসহ ইজিবাইক স্ট্যান্ড যেকারণে রাস্তার পাশের জায়গাগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে আর এদিকে অনেক ব্যাবসায়ীরা দখল করে নিয়েছে রাস্তার জায়গাগুলো অপর দিকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে পথচারীসহ কোমলমতী স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ইতিপূর্বে এই চৌরাস্তা মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ ডিউটি করার জন্য একটি ট্রাফিক ছাউনি ছিল কিন্তু খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে সেটিও ভেঙে ফেলা হয় যে কারণে দূরপাল্লার বাসসহ সকল প্রকার যানবাহন দ্রুত গতিতে চুকনগর শহর অতিক্রম করে এতে করে ঘটছে দুর্ঘটনা। যেহেতু এতবড় বাজার এর আশেপাশে গতি রোধের কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক ট্যাফিক সাইন পোস্ট দেয়ার কথা থাকলে ও কোথাও কোনো ট্রাফিক সাইন নাই যদিও সাতক্ষীরা- খুলনা মহাসড়কে অনেকগুলো বিপজ্জনক মোড় রয়েছে। তথ্য নিলে জানা যায়, চলতি বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং আহত হয়েছে প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি এই দুর্ঘটনার অধিকাংশই চুকনগর এলাকার। এ ছাড়া ও প্রতিমাসে ছোটবড় সবমিলিয়ে ৫-৬ টি দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এব্যাপারে কথা বললে হাইওয়ে (মাদারীপুর রিজিয়ন) পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি এখন জানলাম এবং এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরবর্তীতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাসের সঙ্গে দুর্ঘটনা এবং সাইন পোস্ট লাগানো নেই, এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।