কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার চেয়ে নিহত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী নিহত ফারুক আহমেদের মেয়ে ফারজানা আহমেদ। গতকাল দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ অধিকার দাবি করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারজানা আহমেদ বলেন, ২০১৩ সালের ১৮ই জানুয়ারি আমার পিতা আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার সশস্ত্র প্রতিবাদকারী ফারুক আহমেদকে টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী খান পরিবারের গুণ্ডারা নির্মমভাবে হত্যা করে। তারপর থেকেই আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। খান পরিবার এখনো আমাদের পিছু ছাড়েনি। সম্প্রতি আমার মা যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু করার পর থেকেই প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খান পরিবার নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এর প্রতিবাদ করলে তারা হুমকি দিচ্ছে। খান পরিবারের হুমকির মুখে এর আগে সাত মাস আমরা বাড়ি ছাড়া ছিলাম। সম্মেলনে তিনি জানান, আশপাশের লোকজন তাকে এবং তার মা নাহার আহমেদকে প্রতিনিয়ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। তাকে নানাভাবে অশ্লীল কথা বলে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তাকে মারার উদ্দেশ্যে দা নিয়ে ধাওয়া করা হয়। ফারজানা আহমেদ বলেন, স্বাধীন দেশে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে আমার কি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নেই? আমি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। সংবাদ সম্মেলনে নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ২০১৩ সালের ১৮ই জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয় টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে। তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে টাঙ্গাইলের খান পরিবারের সন্তান সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই জাহিদুর রহমান খান কাকন, সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার তথ্য পায়। এ খবর জানাজানি হলে তারা চার ভাই আত্মগোপন করেন। একপর্যায়ে আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে তার অপর তিন ভাই এখনো পলাতক রয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও