ঘর ও জমি পেলেন গোয়ালঘরে বাস করা সেই বৃদ্ধ দম্পতি
দৈনিক মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশের পর ঘর ও জমি বরাদ্দ পেলেন গোয়ালঘরে অবস্থান নেয়া সেই বৃদ্ধ দম্পতি। ছেলের প্রতারণায় সর্বহারা হয়ে শুকুর দেওয়ান ও সহুরা বেগম নামের এই বৃদ্ধ দম্পতি আশ্রয় নিয়েছিল রাস্তার পাশের একটি গোয়ালঘরে। সেখানে দীর্ঘ এক মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছিলেন তারা। এনিয়ে গত ২৫শে অক্টোবর দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার এক্সক্লুসিভ পাতায় ‘সন্তান থাকতেও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের বাস গোয়ালঘরে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিবকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে একটি ঘর ও এক একর জমি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন পটুয়াখালী-৪ আসনের এ এমপি। তাৎক্ষণিকভাবে বৃদ্ধ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে থাকার ব্যবস্থাও করেন এমপি মহিব। এ ছাড়াও সংবাদটি দেখে মানবজমিনের প্রতিনিধি ও রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. জোবায়ের হোসেনকে মুঠোফোনে কল দেন বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান খতিব আবদুল জাহিদ মুকুল। এ সময় তিনি বৃদ্ধ দম্পতির সকল দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এদিকে সংবাদটি জেলা প্রশাসক মতিউল আলম চৌধুরীর নজরে এলে তিনি রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউএনও মো. মাশফাকুর রহমান নগদ ১০ হাজার টাকা দেন ওই দম্পতিকে। প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে দেয়া ও সংসদ সদস্যের নির্দেশনার সেই ঘরটি নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছেন ইউএনও।তাদের খাবারের জন্যও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বয়স্কভাতাসহ স্থানীয় পর্যায়ে দেয়া সরকারের সকল সহযোগিতা পাবেন এই দম্পতি। পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব জানান, বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবনযাপনের সংবাদটি দেখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয় থেকে আমাকে মুঠোফোনে বলা হয়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে লোক পাঠিয়ে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করেছি। তাদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় একটি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। তাদেরকে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়াও বয়স্কভাতাসহ সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন এই বৃদ্ধ দম্পতি।