গোপনে অপরাধীকে বিয়ে করেছেন নিকি মিনাজ!
পশ্চিমা দুনিয়ার বিখ্যাত পপ-তারকা নিকি মিনাজ। যৌন আবেদনময়ী হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে তার। অল্প পোশাকে তিনি যে অঙ্গভঙ্গি করেন তাতে আন্দোলিত হন কোটি যুবক। তার ভক্তের সংখ্যাও অসংখ্য। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামেই তার অনুসারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৬০ লাখের বেশি। মঙ্গলবার তিনি সেইসব ভক্তকে হতাশ করেছেন একটি খবর জানিয়ে। তা হলো, তিনি গোপনে বিয়ে করেছেন কেনেথ জু পেটি (৪১)কে। এই কেনেথের বিরুদ্ধে আছে নানা অপরাধের অভিযোগ। মাত্র ১৬ বছর বয়সী একটি বালিকাকে ধর্ষণের জন্য তিনি অভিযুক্ত। ধর্ষণ থেকে শুরু করে মানুষ গুলি করে হত্যার মতো অপরাধের জন্য তাকে ১২ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এত কিছু জানার পরেও তাকে বিয়ে করেছেন ‘দ্য আনাকোন্ডা’ খ্যাত র্যাপার নিকি মিনোজ (৩৬)। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ২০১৮ সালে। তখন থেকেই প্রতি রাতে তারা তিন থেকে চারবার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। ফলে সেই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু মূল কথা হলো নিকি মিনোজ যখন নিউ ইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করতেন এবং তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর তখন থেকেই তারা ডেটিং শুরু করেন। তখন কেনেথ পেটির বয়স ছিল ২১ বছরের মতো। এর বছর পাঁচেক আগে তিনি একজন টিনেজারকে ধর্ষণ করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ওই টিনেজার অভিযোগ করেছিলেন, কেনেথ তার পেটের ওপর ছুরি ধরে তার ওপর শক্তি প্রয়োগ করেছেন। এসব নিয়ে বিপুল সমালোচনা সত্ত্বেও নিকি মিনোজ তার মনের মানুষকে ভুলে যান নি। প্রতি পদে তাকে সঙ্গে নিয়ে ছুটেছেন। ১৯৯৪ সালের কথা। তখন নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সেক্স অফেন্ডার ইউনিট ১৬ বছর বয়সী এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কেনেথ পেটি’কে। অভিযোগকারী টিনেজারের অভিযোগ ছিল, রাস্তায় পিছন থেকে তার সামনে চলে যায় কেনেথ। তাকে একটি জিনিস দেখায়। এতে তখন শব্দ হচ্ছিল। তিনি তখন মনে করেছিলেন এটি একটি বন্দুক। তিনি জীবন নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু তাকে হাঁটা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন কেনেথ পেরি। এভাবে তাকে ওই সড়কের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় কেনেথ। সেখানে আটকে রাখে তাকে। এরপর কেনেথ তার ওপর শক্তি প্রয়োগ করে। তার পেটের ওপর ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় কেনেথকে একটি বোতল দিয়ে আঘাত করে পালাতে সক্ষম হন ওই টিনেজ। তিনি পুলিশে ফোন করেন এবং একই দিনে কেনেথ পেটিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যদিও কেনেথ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এ নিয়ে মামলায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন এবং বেআইনিভাবে আটকে রাখা সহ ৫ দফা অভিযোগ গঠন করা হয়। এ জন্য তাকে চার বছরের জেল দেয়া হয় ১৯৯৫ সালে। কেনেথ পেটি জেল খাটেন। এখন তিনি সরকারিভাবে একজন ‘যৌন নির্যাতনকারী’ হিসেবে নিবন্ধিত। নিয়মিত ভিত্তিতে তিনি কোথায় আছেন তা জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে ছবি দিতে হয় তাকে।