পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গতকাল সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউজিসি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, সামপ্রতিক সময়ে দেশের কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীগণ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমনকি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটছে। এমন কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের জীবনকে একদিকে যেমন অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিচ্ছে, অন্যদিকে ক্যাম্পাস অশান্ত করে শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশের পাশাপাশি দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অপ্রত্যাশিত এ অবস্থার দ্রুত অবসানে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রশাসনকে অধিকতর সচেতনতার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি। এতে আরও বলা হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে শ্রেণিকক্ষ হতে শুরু করে প্রতিটি হল ও ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণে ইউজিসি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে আহ্বান জানায়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট/হাউজ টিউটরগণ সার্বক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে সজাগ থাকার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি/ডিএসডবি’কে নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন এ বিষয়ে সহায়তা প্রদান করবে।প্রতিটি হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি র্যাগিং ও মাদকবিরোধী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। ইতোপূর্বে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান এবং ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও মাদকবিরোধী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি সিনিয়র শিক্ষার্থী কর্তৃক জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ওপর পরিচালিত সর্বপ্রকার হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে কতিপয় নির্দেশনা দিয়ে কমিশন থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.