ব্যক্তি ইমেজে নির্ধারণ হবে জয়-পরাজয়

মানবজমিন প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে নেত্রকোনার আটপাড়ায় আগামী ১৪ই অক্টোবর  নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা নির্বাচন অফিস থেকে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীকের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজ ও আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে জয়-পরাজয় নির্ভর করবে। আটপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়ায় নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ছয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই উপজেলার সর্বত্রই প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রার্থীদের প্রচারণায় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আটপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৯৯ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্য ৫৪ হাজার ৫০৬ জন এবং মহিলা ভোটার হচ্ছেন ৫৪ হাজার ৪৭১ জন।  এবারের নির্বাচন কিছুটা ব্যতিক্রম হবে বলে এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলছে। প্রতীকের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজ ও আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে নির্বাচনে ভোটারদের ভোটে প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন বলে অনেকে মনে করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. খায়রুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার দুওজ ইউনিয়নে। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোকাম্মেল হোসেন বাবু। এতে করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে হাজী মো. খায়রুল ইসলাম সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার বাবা সাবেক এমপি আবদুল খালেক ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। নির্বাচনে বাবার ইমেজ অনেকটা কাজে লাগবে বলে মনে করেন অনেকে। উপজেলা সদরের বানিয়াজান ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিবুজ্জামান খান লিটন। এ ছাড়া সাবেক ছাত্রনেতা মো. হুমায়ুন কবীর লিটন ঘোড়া ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন। অন্যদিকে উপজেলার লুনেশ্বর ইউনিয়ন থেকে বিএনপি মনোনীত একক প্রার্থী তৌছিফুল ইসলাম ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার বাবা সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম খান মাজু।   উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. খায়রুল ইসলাম প্রচারে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তিনি প্রতিদিন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন। সভা সমাবেশ করছেন এবং ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মহিবুজ্জামান খান লিটন ও মো. হুমায়ুন কবীর লিটনও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্য প্রার্থী আলহাজ মো. নজরুল ইসলামের তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না এলাকায়। অপর দিকে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী তৌছিফুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন এবং প্রার্থীর দলীয় কোনো পদ পদবি না থাকায় ও এলাকায় অপরিচিত হওয়ায় সুবিধা করতে পারছেন না। তবুও মরহুম বাবার ইমেজকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন এবং ভোট প্রার্থনা করছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও