কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আজ নবমী, পালিত হলো কুমারী পূজা

নানা আয়োজনে সারাদেশে পালিত হলো শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী। ঢাক-ঢোল আর উলুধ্বনিতে মুখরিত ছিল দেশজুড়ে মন্দির ও পূজামণ্ডপ। রামকৃষ্ণ মিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় পূজার সেরা আকর্ষণ কুমারী পূজা। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। সব মন্ডপে এ পূজার আয়োজন করা না হলেও দেশের রামকৃষ্ণ মিশনের কিছু কিছু শাখায় অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর ও বরিশাল অন্যতম। গ্রাম অঞ্চলেও কোনো কোনো মন্ডপে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী এই তিনদিনই দেবী পূজার অন্তে কোনো কুমারী বালিকাকে নতুন বস্ত্র পরিধান করিয়ে দেবীজ্ঞানে পূজা করার রীতি। ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান মহারাজ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ কুমারী পূজা নিয়ে বলেন, বৃহদ্ধর্মপুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী দেবতাদের স্তরে প্রসন্ন হয়ে দেবী চণ্ডিকা কুমারী কন্যারূপে দেবতাদের সামনে দেখা দিয়েছিলেন। দেবীপুরাণে বিস্তারিত এ বিষয় উল্লেখ আছে। তবে অনেকে মনে করেন যে, দুর্গা পূজায় কুমারী পূজা সংযুক্ত হয়েছে তান্ত্রিক সাধনামতে। মহরাজ বলেন, কুমারী পূজা সকাল ১১ টায় রামকৃষ্ণ মিশনে শুরু হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বর্ন্যাঢ্য আয়োজন ছিল। সনাতন শাস্ত্রে যা যা করণীয় সবই পালন করা হয়েছে। সামাজিকভাবে কোনো বিধি নিষেধ ছিল না পূজাতে। সনাতন ধর্মে যা আছে তা নিয়েই আমাদের আয়োজন। কুমারী পূজার দার্শনিক তত্ত্ব নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্ত্তী বলেন, কুমারী পূজা হলো নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন।মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা। রামকৃষ্ণ মিশনে পালিত হলো এ বছরের কুমারী পূজা। এবারের কুমারী কন্যা হয়েছেন প্রশংসা প্রিয়তা বন্ধ্যোপাধ্যায়। শাস্ত্রমতে, পাঁচ বছর বয়সী কুমারীর নামকরণ করা হয় সুভগা। ভক্তদের মতে, কুমারী পূজা একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। বিরামহীন ঢাকের আওয়াজের সঙ্গে থেমে থেমে বেজে উঠছে ঘণ্টা আর কাঁসার শব্দ আর নানা বয়সের নারীদের ভক্তিভরা উলুধ্বনি। এরই মাঝে মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হলেন ‘কুমারী মা’। হাজারো ভক্ত জয়ধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন ‘কুমারী মা’ প্রশংসা প্রিয়তা বন্দোপাধ্যায়কে। লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ি পরে আসা প্রিয়তার উৎসুক চোখেমুখে ছিলো আনন্দ। ১৬ টি উপকরন দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণে দেয়া হয় কুমারী মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবী মায়ের গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। পূজা শেষে প্রধান পূজারী দেবীর আরতি নিবেদন করে দেবীকে প্রনাম করা হয়। শাস্ত্রমতে, কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে। কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। সে সকল দেবগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়। কুমারীতে সমগ্র মাতৃজাতির শেষ্ঠ শক্তি। কুমারী প্রতীকে জগজ্জননীর পূজাতে পরম সৌভাগ্য লাভ হয়, এমন বিশ্বাস হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন