গভীর খাদে ট্রামেপর সেনাপতিরা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামেপর বিরুদ্ধে চলমান অভিশংসন তদন্তে বিপদের সম্মুখীন তার শীর্ষ কর্মকর্তারাও। অভিযোগ ওঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধীদের মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের সাহায্য চাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রামপকে সহযোগিতা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পমেপও ও অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।বৃটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী-প্রত্যাশী সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সমপ্রতি ট্রামেপর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে, গত ২৫শে জুলাই এক ফোনকলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বাইডেনের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি তদন্ত করতে চাপ দিয়েছিলেন ট্রামপ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত চালু করেছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ। মঙ্গলবার স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওই ফোনালাপের সময় ট্রামপকে সহযোগিতা করেছেন পমেপও। অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে অভিযোগ ওঠে, বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুয়েলারের তদন্তের গ্রহণযোগ্যতা কমাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন ট্রামপ। ওই ফোনকলে তাকে সহায়তা করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল বার। এছাড়া, বারের বিরুদ্ধে একাধিক আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার খবরও প্রকাশ পেয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বৃটেন সহ অন্যান্য দেশের এসব কর্মকর্তাদের কাছে নানাবিধ অনুরোধ করেছিলেন তিনি।ট্রামপ অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিশংসন তদন্তটিকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পমেপও ও বার তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত গোপন তথ্য অনুসারে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রামেপর ফোনালাপে প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন বার। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের দ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠেছে। ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করেছেন, ট্রামেপর সমর্থনে বেশি ইচ্ছুক বার। দেশের শীর্ষ আইনজীবী হিসেবে তার স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন এক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ।এদিকে, গত সপ্তাহে পমেপওকে ট্রামেপর ইউক্রেন ফোনকল সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রামেপর অভিশংসন তদন্ত পরিচালনাকারী প্রতিনিধি পরিষদের তিনটি কমিটি। এছাড়া, শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানিয়েছে কমিটিগুলো। তবে পমেপও জানিয়েছেন, তিনি নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করবেন। এক টুইটে তিনি বলেন, কমিটিগুলোর এই অনুরোধকে একভাবেই দেখা যায়। এটা হচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভীতি প্রদর্শন করা, তাদের নির্যাতন করা ও অযাচিত আচরণ করা।ট্রামেপর অভিশংসন তদন্তে ওঠে এসেছে তার ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জিউলিয়ানির নামও। তার টেক্সট মেসেজ, ফোন রেকর্ড ও অন্যান্য যোগাযোগের রেকর্ড জমা দিতে একটি লিখিত নির্দেশ দিয়েছে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন নিম্নকক্ষ।