ভাঙ্গুড়ায় ২ শিক্ষককে পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা
উপজেলার ছোট বিশাকোল গ্রামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে চড় মারার ঘটনায় ছোট বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মজিদ (৫৮) ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস সামাদকে (৫৫) পিটিয়েছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার অনুসারীরা। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঐ গ্রামের বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মারধর শেষে তাদের একটি দোকানে এক ঘণ্টা যাবৎ আটকে রাখেন তারা। পরে গ্রামবাসীর তাদের মুক্ত করে। আহত দুই শিক্ষক রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রাতেই তারা ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এলাকাবাসী জানায়, গত ১৯শে সেপ্টেম্বর উপজেলার ছোট বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমন হোসেনকে বেয়াদবির কারণে চড় মারেন প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ। এতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ইমনের পরিবার প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে স্থানীয় প্রধান বর্গ ও উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে ওই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক নবীর উদ্দীন, ইউপি সদস্য ও দুলাল, অষ্টমণিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদের ঝামেলা চলতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছোট বিশাকোল বাজারে এক চায়ের দোকানে নবীর, দুলাল, কুদ্দুস ও রফিকুল লোকজন নিয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদকে উপর্যুপরি কিল, চড়, ঘুসিতে আহত করেন। এরপরেও একঘণ্টা ওই দুই শিক্ষককে ঐ দোকানের ভেতরে আটকে রাখে তারা। পরে গ্রামবাসী তাদের মুক্ত করে। ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষকরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- শিক্ষক পেটানো
- আওয়ামী লীগ