কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সম্পাদক পদ নিয়ে একাধিক প্রার্থী মাঠে

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আগামী ৭ই ডিসেম্বর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের এবং ১০ই ডিসেম্বরের মধ্যে বিভাগের সকল জেলাতে সম্মেলন সম্পন্ন করতে সময় বেঁধে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আগামী ৭ই ডিসেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হলেও জেলার তারিখ নির্ধারণ হয়নি। যেহেতু ১০ই ডিসেম্বর সকল জেলার সম্মেলনের শেষ সময় তাই মহানগর ও জেলায় সম্মেলনকে ঘিরে দলের ভেতরে বাইরে আলোচনা এখন তুঙ্গে। সকল আলোচনা ছাপিয়ে সবার চোখ এখন সাধারণ সম্পাদক পদের দিকে। মঙ্গলবার খুলনা বিভাগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় ১০ জেলার সম্মেলনের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়। সভায় ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ৪ঠা অক্টোবর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হবে এবং অবশ্যই তা ১০ই ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে। ফলে সম্মেলনকে ঘিরে দলের ভেতর ও বাইরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুর পর ওই পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী। আগামী সম্মেলনে জেলার সাধারণ সম্পাদক কে হবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। একই সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিজান তার পদ ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এছাড়াও দুদকে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ফলে দলের ভেতরে তিনি ও তার অনুসারীরা কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছেন।দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের মহানগর সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক ও জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন প্রবীণ নেতা। তাদের বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি না হওয়ায় এই পদে পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনা বেশি। তাই সম্মেলনকে ঘিরে তাদের নিয়ে এক ধরনের নীরবতা কাজ করছে। অপরদিকে, নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকেই। মহানগর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ছাড়াও মহানগরে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ কামাল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আলী প্রমুখ।খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল ও আক্তারুজ্জামান বাবু (এমপি), বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম খান, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসিত বরণ বিশ্বাস প্রমুখ।কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আগামী ৪ঠা অক্টোবর বিশেষ বর্ধিত সভায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হবে। ওই সভায় ‘আমি ও কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল উপস্থিত থাকব’। সম্মেলনে মহানগর ও জেলায় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে কি-না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দু’জনই প্রবীণ নেতা। এখন পর্যন্ত তাদের বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। তাই এই দুই পদে পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।’ মহানগর ও জেলার সাধারণ সম্পাদক পদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুর পর জেলার কেউই নিজেকে তেমন যোগ্য করে গড়ে তুলতে সক্ষম হননি। ফলে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে কাকে দেওয়া হবে তা এখনই বলা যায় না। আর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও প্রধানমন্ত্রী নিজে নিবেন।’ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৯শে নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশিদ সভাপতি ও এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর ৯ মাস পর ২৭শে নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও