কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নোয়াখালীতে কিশোরীকে গণধর্ষণ, প্রেমিক গ্রেপ্তার

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

এসপির নির্দেশে ওসির ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার সালিশ বৈঠক ব্যর্থ হয়ে অতঃপর গণধর্ষণের প্রেমিককে আবার গ্রেপ্তার করে গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে এক কিশোরীকে (১৫) বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকসহ ৫ বন্ধু মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিমের প্রেমিক ফরহাদ হোসেন (২৬) কে স্থানীয় এলাকাবাসী আটক করে সোনাইমুড়ী থানার ওসির কাছে সোপর্দ করেন। পরে ভিকটিমের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও রাতে ওসি মামলা নথিভুক্ত না করে তার নেতৃত্বে সমঝোতা বৈঠকে ভিকটিমের সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ে দেয়ার শর্তে ধর্ষক ফরহাদকে ছেড়ে দিয়ে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা চালায়। ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে ওসি আবার ধর্ষক ফরহাদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ফরহাদ বর্তমানে থানাহাজতে রয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামের বেপারী বাড়ির সুপারি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। নানামুখী নাটকীয়তার পর মামলা এসপির নির্দেশে নথিভুক্ত হয়। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন জানায়, সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে ফরহাদ হোসেনের সাথে পার্শ্ববর্তী নবগ্রামের ওই কিশোরীর নানাবাড়িতে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে মোবাইলে দীর্ঘ এক বছর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে বুধবার রাতে ফোনে নবগ্রামের বেপারী বাড়ির কফিল উদ্দিনের ভাগ্নি কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক ফরহাদ হোসেন পার্শ্ববর্তী সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ফরহাদ ও তার বন্ধু নবগ্রামের মৃত আবুল বাসারের ছেলে সবুজ (২০), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নোমান (২০), বদরুল আলমের ছেলে তানজিদ হোসেন (২০) ও ডুমুরিয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে লিমন (২০) ভিকটিমকে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভিকটিম নিজেই প্রেমিকের বাড়িতে রাত ৩টার দিকে উপস্থিত হলে স্থানীয় এলাকাবাসী জড়ো হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজনের নজরে আসলে তারা থানায় খবর দেয়। ধর্ষক ফরহাদকে আটক করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।  সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ধর্ষক ফরহাদকে আটক এবং ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। ধর্ষক ফরহাদকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সোনাইমুড়ি থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বাকি ৪ নরপশু গ্রেপ্তার হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও