ছবি সংগৃহীত
সেক্টর কমান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করতে চান নিয়াজ
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ১০:৫৭
নিয়াজ মোর্শেদ। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম
(প্রিয়.কম) শুরুটা কোথায় ও কবে? এমন প্রশ্নে নিয়াজ মোর্শেদের স্বভাবসুলভ হাসি। একটু নিজেকে খুঁজে নিয়ে বললেন, ‘সে তো অনেক আগে, অনেক ছোট বেলায়।’ এর পরে যে গল্পটা শোনালেন, সেটি বেশ মজার;
২০০২ সালের ২৬ মার্চ বরগুনা জেলা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন অনুষ্ঠান দেখতে। সেখানেই খেলাঘরের এক বড় আপুর আবৃত্তি শোনেন। এরপরে ভর্তি হয়ে যান খেলাঘরে। সেখানেই মূলত তার শুরুটা। এরপরে স্কুল, কলেজ পেড়িয়ে চলে আসেন ঢাকায়। কাজ করেন কয়েকটি বিজ্ঞাপনে। তবে শুরুর বিজ্ঞপনেই বেশ সাড়া পান।
এরপরে পেয়ে যান নাটকের সুযোগ। একে একে করেন, অ-এর গল্প, গল্পটা ভ-এর, নোয়াশাল, এক সাত সাত এক সহ বেশ কয়েকটি নাটক। তবে প্রিয় নাটকের নাম জানতে চাইলে নিয়াজ জানান, ছোট কাকু (আফজাল হোসেন), তাজমহল (এস এ অলিক), এক সাত সাত এক (সকাল আহমেদ) নাটক তিনটির নাম।
২০০৮ সালে প্রথম ক্যামেরার সামনে এলেও, এত নাটকে অভিনয় করেও এখনো খুঁজে পাননি স্বপ্নের মতো কোন চরিত্র। এ প্রসঙ্গে প্রিয়.কমকে নিয়াজ বলেন, ‘জীবনে কোন সেক্টর কমান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করতে পারলে সেদিন নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবতাম।’ নাটকে অভিনয় করলেও স্বপ্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করার।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই শিখতে ভালবাসেন নিয়াজ। বিশেষ করে কাছের মানুষ বড় ভাই সমতুল্য সুমনকে নিজের শিক্ষাক্ষেত্র মনে করেন তিনি। নিয়াজ বলেন, ‘জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি সুমন ভাইয়ের সব কথা মেনে চলি এবং সফল হয়েছি তাতেই।’
খারাপ-ভালো দুটো অবস্থাই দেখেছেন জীবনে। তবে মনে রাখার মতো ঘটনা বলতে গিয়ে অনেকটাই চোখ ছলছল করে ওঠে নিয়াজের। ঘটনা বর্ণনায় নিয়াজ বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন আমার অ-এর গল্পের একটা পর্ব প্রচারিত হয়েছি, যাতে আমার পেট কেটে কিডনি বের করে আনা হয়। পরেরদিন আমি মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারে গিয়েছি। সেখানে এক পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধা আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, বাবা তোমাকে কাল যখন মেরে ফেললো আমি অনেক কেঁদেছি।’
সে ঘটনা এখনো মনে পড়ে নিয়াজের। নিয়াজ মনে করেন, এমন সব ঘটনাই জীবনে আরো ভালো কিছু করতে উৎসাহ দেয়। তবে একটি অভিযোগ করেন নিয়াজ, বর্তমান মিডিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে। নিয়াজ বলেন, ‘আগে যেহেতু চ্যানেল কম ছিল তাই আগের দিনের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অল্প কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেই অনেক বেশি পরিচিতি পেয়ে যেত কিন্তু এখন এত চ্যানেল তবুও সে হিসেবে আমরা মানুষের মনে আসতে পারছি না।’
নিয়াজের প্রিয়র তালিকা বেশ লম্বা। প্রিয় খাবার, বরিশালের বিখ্যাত চালের রুটি আর সাথে হাঁসের মাংস। প্রিয় অবসরের কাজ, প্রচুর সিনেমা দেখা, গান শোনা আর বই পড়া। প্রিয় অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি ও সালমান শাহ। প্রিয় সহকর্মী মুমতাহিনা টয়া।
নিজের সম্পর্কে জানতে চাইলে, এক গাল হেসে নিয়াজের উত্তর, 'আমি একজন ভালো প্রেমিক।' তার এ গোপন তথ্য অবশ্য স্ত্রী লিলিও জানেন।
সম্পাদনা: গোরা
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- মিডিয়া
- মডেলিং
- টিভি
- নিয়াজ মোর্শেদ
- নিয়াজ মোর্শেদ