
ছবি সংগৃহীত
রাসুল [সা.] কীভাবে এবং কেমন আংটি ব্যবহার করতেন?
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৫:৩৯
শুরুর দিকে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম কোনো আংটি ব্যবহার করতেন না। হুদাইবিয়ার সন্ধির পরে যখন তিনি আরব উপদ্বীপগুলোর বাইরে ইসলামী দাওয়াতের মিশন শুরু করলেন এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের নামে পত্র পাঠানো ইচ্ছা করলেন তখন তাকে জানানো হলো রোমকরা সীলমোহর ছাড়া কোনো পত্র গ্রহণ করে না। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম তখন রুপা দিয়ে একটি আংটি তৈরি করলেন এবং সেই আংটিতে ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’অংকিত করান। যেন তা মোহরের কাজেও ব্যবহার হতে পারে।(বুখারি)
কোনো কোনো বর্ণনা থেকে অনুমিত হয় প্রথমে উল্লেখিত উদ্দেশ্যে স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করেন। তার দেখাদেখি সাহাবাদের অনেকেই স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা শুরু করেন। এই প্রেক্ষিতে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম স্বীয় আংটি ছুঁড়ে ফেলেন এবং এই মর্মে ঘোষণা দেন- এখন থেকে আমি আর স্বর্ণে আংটি পরবো না। তার পরে তিনি রুপার আংটি তৈরি করান। রুপার তৈরি আংটিটি তিনি জীবনের শেষ দিন পযর্ন্ত ব্যবহার করেছেন। তার এই আংটি মুবারক খোলাফায়ে রাশেদার কাছে সংরক্ষিত ছিলো। অবশেষে হজরত উসমান (রা.)-এর শাসনামলে আংটিটি মদিনার আরিস নামক কূপে পড়ে যায়। তার পরে আর তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। (বুখারি)
এই বর্ণনার আলোকে বিজ্ঞ আলেমগণ বলেছেন, ইসলামের সূচনাকালে পুরুষের জন্যও স্বর্ণে আংটি ব্যবহার করা জায়েজ ছিলো। পরে তা নিষিদ্ধ হয়েছে। কারণ হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াল্লাম পুরুষের জন্য স্বর্ণের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেন। হজরত রাসুল [সা.] -এর আংটি মুবারকের বৃত্তটি ছিলো রূপার তৈরি। আর তার উপরের অংশটি ছিলো রূপার আর তার নির্মণশৈলি ছিলো হাবশী (আবু দাউদ)।
হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান বাম উভয় হাতেই আংটিটি পরেছেন বলে প্রমাণিত আছে। তিনি মধ্যমা এবং শাহাদাত আংগুলে আংটি পরতে সরাসরি নিষেধ করেছেন (মুসলিম)। খুব সম্ভব হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একাধিক আংটি ছিলো। এর কোনটি ছিলো রূপার, আবার কোনটি ছিলো লোহার যার উপর রূপার পাত মোড়ানো ছিলো।