ছবি সংগৃহীত

প্রিয় গন্তব্য: রামু বৌদ্ধ বিহার

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৭, ০৯:১২
আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭, ০৯:১২

১০০ ফুট সিংহসজ্জা বৌদ্ধ মূর্তি। ছবি: সংগৃহীত 
 
(প্রিয়.কম): রামু একটি উপজেলার নাম। অবস্থিত বাংলাদেশের কক্সবাজারে। প্রাচীন সব বৌদ্ধ পুরাকীর্তির জন্য বিখ্যাত উপজেলাটি। এখানে আছে বেশ কিছু উপাসনালয়। বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে জানতে হলে রামু ভ্রমণের বিকল্প নেই। এখানকার মন্দিরে হাজার বছরের পুরোনো মূর্তির দেখাও মিলবে। যদিও দুঃখজনক এক সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এখানকার বেশিরভাগ পুরাকীর্তি।  
 
ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে বৌদ্ধ মন্দির, বিহার ও চৈত্য-জাদি উল্লেখযোগ্য। রামুতে প্রায় ৩৫টি বৌদ্ধ মন্দির বা ক্যাং ও জাদি রয়েছে। বৌদ্ধ ঐতিহ্যের মধ্যে রামুর লামারপাড়া ক্যাং, কেন্দ্রীয় সীমা বিহার (১৭০৭), শ্রীকুলের মৈত্রী বিহার (১৯৮৪), অর্পন্নচরণ মন্দির, শাসন ধ্বজামহাজ্যোতিঃপাল সীমা (১২৮৯বাংলা), শ্রীকুল পুরাতন বৌদ্ধ বিহার, শ্রীকুলেরচেরেংঘাটা বড় ক্যাং, (রোয়াংগ্রী ক্যাং ১৮৮৫) সংলগ্ন মন্দিরসমূহ, দক্ষিণ শ্রীকুলের সাংগ্রীমার ক্যাং সংলগ্ন মন্দিরসমূহ, রামকৌট বনাশ্রম বিহার উল্লেখযোগ্য। পূর্ব রাজারকুল বৌদ্ধ বিহার, চাতোফা চৈত্য জাদি, উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞা বনবিহার সংলগ্ন মন্দিরও বেশ সুন্দর।
 
বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র উত্তর মিঠাছড়ি ১০০ ফুট সিংহসজ্জা বৌদ্ধ মূর্তিটি এখন বেশ পর্যটক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। রামুতে যাওয়া মানেই এই মূর্তিদর্শন। বলা হয়, এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমূর্তি। এর দুই কিলোমিটার দূরে অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীতে নতুন করে নির্মিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সীমাবিহার। কিছুটা দক্ষিণে নজরকাড়া লালচিং ও সাদাচিং বৌদ্ধবিহার। উত্তর ফতেখাঁরকুল বিবেকারাম বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন মন্দিরসমূহ, ঈদগড় বৌদ্ধ বিহার প্রভৃতি এলাকাতেও অবশ্যই ঘুরতে যাবেন।

* ১০০ ফুট সিংহসজ্জা বৌদ্ধ মূর্তি ব্যাতিত আর কোন মন্দিরে ছবি তোলা নিষেধ। ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। শান্তিময় ভ্রমণ পরিবেশ বজায় রাখতে দায়িত্বশীল হোন।
 
কীভাবে যাবেন:
কক্সবাজার শহর থেকে ট্যাক্সি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা বা টমটম নিয়ে যেতে পারেন বৌদ্ধ বিহারে।
 
কোথায় থাকবেন:
থাকার জন্য কক্সবাজারে বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। ভাড়া শুরু অফ সিজনে ৫০০ টাকা থেকে শুরু। তবে অবশ্যই দরদাম করে নেবেন।
 
প্রিয় ট্রাভেল/ ড. জিনিয়া রহমান।
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।