ছবি সংগৃহীত

মনে লালন করতে হয় নিজেদের সংস্কৃতি: গোলাম কুদ্দুস

কুদরত উল্লাহ
সহ-সম্পাদক, বিনোদন
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:২৬
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:২৬

গোলাম কুদ্দুস। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম। 

(প্রিয়.কম) বসন্তের হাওয়া বদলে আসলো নতুন হাওয়া। বৈশাখী এ হাওয়া লাগতে বাকি আর কয়েক ঘণ্টা। ইতোমধ্যেই নানা সাজে প্রস্তুত বাঙালি ও বাংলাদেশ। বাংলা নববর্ষ পালন করবে সারাদেশ। আমাদের সংস্কৃতির জন্য এখনো লড়াই করে যেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ এর নানান বিষয় নিয়ে প্রিয়.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস। 

প্রিয়.কম: কেমন আছেন আপনি?
গোলাম কুদ্দুস: ভালো আছি।

প্রিয়.কম: আপনি সভাপতি হবার পর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অর্জন কি কি...
গোলাম কুদ্দুস: আমি তো সভাপতি হয়েছি ২০১৪ সালে। কিন্তু তার আগে আমি সাধারণ সম্পাদক ছিলাম ১৯ বছর। যার ফলে নতুন করে আসলে দায়িত্ব নেওয়ার কিছু নেই। কারণ সংগঠনটির একটা মূল অংশ হিসেবে ছিলাম দীর্ঘ বছর। একটা দল প্রতিষ্ঠিত করতে আসলে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এরশাদ পতনের আন্দোলন ছিল। ১৯৮৩ সালে যখন এরশাদ বলল যে, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরিতে আর আল্পনা আঁকা যাবে না। তখন থেকেই তো সংগঠনটির মূল আন্দোনল শুরু হলো আর আমাদের সংগঠনটির কার্যক্রম প্রতিষ্ঠিত হলো। সেই সালেই আমারা সম্মিলিত একুশে কমিটি করে আমাদের কার্যক্রম শুরু করি। তারপর ১৯৮৪ সালে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নামকরণ করে দিয়ে আমাদের মূল কমিটি গঠন করি। সেই থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। তারমানে আমরা একটি স্বৈরাচারি নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলন দিয়েই আমাদের দলটি গঠন করি। তাই এখন যে অনুষ্ঠানগুলো আমরা করে থাকি তা কিন্তু গতানুগতিক কোনো অনুষ্ঠান নয়। এটা আন্দোলনেরই একটা প্রতিফলন হিসেবে করে থাকি। এখন সেটা বাংলাদেশের জেলা-উপজেলাতেই পালন করা হয়। আমরা বিজয় উৎসব পালন করি। মোট কথা সাংস্কৃতিক যত অনুষ্ঠান আমাদের সংগঠন থেকে করা হয় তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতেই করা হয়। তাছাড়া শুধু সাংস্কৃতিক কাজেই নয় দেশের প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ছিল এবং থাকবে। একই সাথে জনগণের সাথে রাজপথে থেকে লড়াই করেছি।

প্রিয়.কম: আপনি তো দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কৃতির নানাদিক নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন ক্লান্তি আসে না?
গোলাম কুদ্দুস: আসলে এভাবে বলার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের উদ্দেশ্যে সততা ছিল। তাই ক্লান্তি আসার কোনো সুযোগই পায়নি। আর আমি তো সব সময় আন্দোলন করেছি হাসিমুখে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। সেখানে ক্লান্তি আসার কোনো প্রশ্নই আসে না। ক্লান্তি আপনার তখনই আসবে যখন আপনি যে কাজটি করছেন সেই কাজটির সঙ্গে মানসিকভাবে একাত্ততা প্রকাশ করতে পারবেন না। যেমন ধরেন, বাচ্চা অসুস্থ তখন সারারাত ধরে তার মা তার পাশে বসে তার সেবা করে। তাহলে সেই মা কি কখনও ক্লান্ত হতে পারে? পারে না। কোনোদিন তার কখনও ক্লান্তি আসবে না। কারণ সেই মা জানেন সন্তানটি তার। তেমনি আমাদের কাজের মধ্যে যদি সততা থাকে তাহলে তো আনন্দ হবার কথা। তাই সংস্কৃতির জন্য, দেশের জন্য যা কিছু করি না কেন কখনও ক্লান্তি আসে না। বরং আমার আরও আক্ষেপ আছে। হয়ত আরও ভালো অনেক কিছুই করতে পারিনি। তাই আক্ষেপটা থেকেই যায় যদি আরও ভালো কিছু করতে পারি সবার জন্য। কোনো অপূর্ণতাই যেন না থাকে এই সংগঠন থেকে।
প্রিয়.কম: আমাদের সংস্কৃতি এখনও নিজের আছে নাকি আমরা এখন অনেকটাই অন্যের সংস্কৃতি নিয়ে বড় হচ্ছি?
গোলাম কুদ্দুস: আপনি কেন এভাবে চিন্তা করছেন। এই প্রশ্নটাই তো উঠানো ঠিক নয়। কারণ আমরা যুদ্ধ করেছি। ভাষার জন্য লড়েছি। ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে এই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের মাতৃভাষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। আমাদের বাংলা নববর্ষের মঙ্গলশোভা যাত্রা এখন বিশ্বের কাছে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। আমার বাঙলা ভাষার কবি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। এই ধরনের ভাবনাটাই যদি কারও মনে আসে তাহলে সেটাই তো অনুচিত। কিছু মানুষের জন্য তো সারাদেশের মানুষকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা মাথা উঁচু করে বিশ্বের কাছে বাঙালি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছি অনেক আগেই।

গোলাম কুদ্দুস। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম। 

প্রিয়.কম: ছোটবেলা থেকেই একটি পরাধীন রাষ্ট্রে আপনার জন্ম হয়েছিল। পরে যুদ্ধ করে তা স্বাধীন করা হয়। যুদ্ধের সময় আপনি কোথায় ছিলেন? সে দিনগুলোর গল্প জানতে চাই...?
গোলাম কুদ্দুস: প্রথম কথা হচ্ছে আমি পরাধীন রাষ্ট্র বলব না। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীনই ছিল। কিন্তু পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠি সবসময় দাবিয়ে রেখেছিল। আর এটা নিয়ে আমাদের পূর্ব পুরুষেরাও যুদ্ধ করেছে। কারণ তারা আমাদের প্রাপ্য অধিকার দিতে চায়নি। এটার জন্যই মূলত লড়াই করতে করতে পরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। আমাদের দেশ স্বাধীন হলো। তাই আমি পাকিস্তান থাকা সময়টাকে পরাধীন বলব না বলব তারা আমাদের অধিকারটুকু দেয়নি। তাই যুদ্ধ হয়েছে। আমরা আমাদের অধিকার পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর অধিনে থেকে বীর বাঙালিরা দেশ স্বাধীন করেছে। আমি তখন ৮ শ্রেণিতে পড়ি। যুদ্ধের সময় আমাদের গ্রামের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প ছিল। আমার এখনও মনে আছে আমাদের বাড়ির সামনে স্কুল ঘর, কাচারি ঘর সব মিলিয়েই একটা ক্যাম্প করা হয়েছিল। তখনকার সময়েই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটা সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে আমিও ছিলাম। আমার আরও এক প্রয়াত ভাই ছিল। আমরা সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধাদের খাওয়া, কাপর, অর্থ এ সব কিছুই ব্যবস্থা করেছিলাম। কখনও কখনও পাকিস্তানিরা হামলা করেছে এমন সব সংবাদ সংগ্রহ করে মুক্তিবাহিনীকে দিয়েছি। অস্ত্র হাতে হয়ত আমি যুদ্ধ করতে পারিনি কারণ সেই সুযোগটি আমার হয়নি। কিন্তু অন্য সব কিছুই তখকার ওই অল্প বয়সে করেছি।

প্রিয়.কম: মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তারা অনেকেই নাকি স্বাধীনতায় বিশ্বাসি ছিলেন না। কথাটি কী সত্য?
গোলাম কুদ্দুস: নাহ এই কথার কোনো ভিত্তি নাই। আর এ কথাটি সত্যও নয়। শুধুমাত্র ডাক্তার ইঞ্জিনিয়া, সরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষিত মানুষ এভাবে আলাদা করা ঠিক হবে না। কারণ বঙ্গবন্ধুর নেত্রীত্বে কিন্তু সাড়ে সাত কোটি মানুষই সাড়া দিয়েছিল। আর এটা প্রমাণিত। কিছু রাজাকার, আলবদররা স্বাধীনতাকে সমর্থন করেনি। তারা কিন্তু চিহ্নিত। এখন কথা হচ্ছে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি বা করতে পারেনি তারা কি স্বাধীনতা চায়নি? অবশ্যই তারা স্বাধীনতা চেয়েছিল। এখন আমি যদি বলি অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সাধারণ হাজার হাজার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি তারমানে কি তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল। অবশ্যই না। সবাই চেয়েছিল দেশটা স্বাধীন হোক। প্রতিটি মানুষের সহযোগিতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মনে রাখতে হবে যুদ্ধ করে অল্প কিছু মানুষ আর সেটাকে সাপোর্ট করে কোটি কোটি মানুষ। তাই যারা এই সব কথা বলেন তারা আসলে ঠিকটা বলেন না।
প্রিয়.কম: দেশ ভাগের আগে থেকেই সংস্কৃতি নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই কী আপনার সংস্কৃতির প্রতি টান চলে আসে?
গোলাম কুদ্দুস: মূল আন্দোলন তো শুরু হয়েছে সেই ৪৭ থেকে। তখন তো আমার জন্মই হয়নি। আমার জন্ম হয়েছে ৫৬ সালে। তখন অলরেডি আমাদের মাতৃভাষা বাংলা হয়ে গিয়েছিল। আমি গ্রামে বড় হয়েছি। সেখানে এখনকার সময়ের মতো এত ভাষা নিয়ে টেউ ওঠেনি। তখন গ্রাম পর্যায়ে ভাষা নিয়ে এতটা খবর পৌঁছে নাই। বা এই দিনটিকে যে পালন করতে হবে তাও গ্রামের মানুষ বুঝত না। তবে হ্যাঁ যারা শিক্ষিত ছিল বা বয়স্ক ছিল তারা জানত ব্যপারটি। কিন্তু আমাদের মতো এত অল্প বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে তখনও কিছু হয়ে ওঠেনি। তবে বয়স যখন বাড়ল তখন তো একুশে ফ্রেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরিতে যাওয়া। ফুল দেওয়া এগুলো সবই করেছি। ক্লাস এইটে থাকতেই আমাদের মহল্লাতে একটা সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিল ‘চেতনার পরশে’ নামে। তখন ওইটার সাহিত্য সম্পাদক ছিলাম আমি। আর ছোট বেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাসটা ছিল। স্কুলে থাকা অবস্থাতেই একটি স্বরণিকা সম্পাদনা করেছিলাম। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে থাকতে কবিতা লিখেছি, গল্প লিখেছি। আমি যখন চট্টগ্রাম মহানগ ছাত্রলীগ করি তখন সেখানে আমি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। পরে আমরা বন্ধুরা মিলে একটি সাহিত্য পত্রিকা বের করেছিলাম। সেটারও আমি সম্পাদক ছিলাম। এরপর ঢাকায় এসে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম তখন আমি ও প্রয়াত এস এম সোলায়মান সেই কালান্তর নামের নাট্যগোষ্টি শুরু করলাম। এই নাট্য সংগঠন থেকে অনেক পথনাটক করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গাতে। পরে ৮০ সাল থেকে ঢাকা পদাদিক নাট্যদল হিসেবে প্রকাশ পায় দলটি। এরপর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। তারপর আমি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। এই লেখালেখির কারণেই আমি স্কুলজীবন থেকে হয় সাহিত্য সম্পাদক ছিলাম আর না হয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। আমার কাজের কারণেই সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমাদের একটি গানের দল আছে বর্ণিশিখা।

গোলাম কুদ্দুস। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম। 

প্রিয়.কম: এখনকার সময়ে যে আমাদের তরুণদের ভিন্ন সংস্কৃতি নিয়ে বেশি মাতামাতি। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
গোলাম কুদ্দুস: প্রথম কথা হচ্ছে এটা একটা অপসংস্কৃতি। কারণ এখন অনেক জায়গা নাকি বাংলা নববর্ষকে বন্ধও করে দেওয়া হচ্ছে। আবার নববর্ষের দিন ব্যান্ডের গানও করে। এটা আসলে ঠিক হচ্ছে না। তার কারণ আমাদরে সংস্কৃতির প্রধান উৎসব হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। এখন আমি ভিন্ন সংস্কৃতি যদি মানি সেটাও হয়ত আমি খারাপ বলছি না। সময়ের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতেই হবে। কিন্তু তাই বলে বাংলা নববর্ষের দিন সংস্কৃতির নামে ভিন্ন কিছু করে নিজেদের সংস্কৃতির হুমকির মুখে ফেলে না দেওয়াই হচ্ছে প্রকৃত কাজ। শুধু বাংলা বলতে পারলেই সে বাঙালি হয় না। মনে লালন করতে হয় নিজেদের সংস্কৃতি। তাই আমি বলব এসব অপসংস্কৃতি বন্ধ করে নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচুন।
প্রিয়.কম: আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা বাঙালি। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন অনেক বদলে গিয়েছি আমরা। আগামী প্রজন্ম আসলে কী শিখবে তাহলে?
গোলাম কুদ্দুস: এটা আসলে আমাদের নিজেদেরই করে রেখে যেতে হবে। পারিবারিকভাবে হোক আর সামাজিক ভাবেই হোক। আমাদের ভবিষ্যত প্রজেন্মর জন্য আমাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রেখে যেতে হবে। এটার দায়িত্ব সবার। একা কিছু করা যায় না। পরিবার থেকে নিজেদের সংস্কৃতির ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। আর সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
প্রিয়.কম: আপনি তো অভিনয় করতেন একটা সময়। সরে আসলেন কেনো অভিনয় থেকে?
গোলাম কুদ্দুুস: এখন আর আসলে সময় হয় না। তবে খুব বেশি যদি অভিনয় মনে পড়ে তাহলে হয়তো অভিনয়টা করব কিন্তু চারিদিকে এতো কাজ তাই আর ওভাবে সময় হয় না।

প্রিয়.কম: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিধি অনুযায়ী প্রতি দুইবছর পর সম্মেলন হওয়ার কথা...আপনাদের পরবর্তী সম্মেলন কবে হবে?
গোলাম কুদ্দুস: এটা হচ্ছে আসলে সারা দেশেই নানা কর্মকাণ্ডগুলো করছে জেলাভিত্তিক ভাবে। কিন্তু সম্মেলনটি করা হচ্ছে না। নানা কারণ আছে। তবে খুব শিগগিরিই কমিটির সবাই বসে কথা বলে ঠিক করে নেবো। কবে সম্মেলনটি করব।

গোলাম কুদ্দুস। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম। 

প্রিয়.কম: আপনার লেখালেখির কী খবর?
গোলাম কুদ্দুস: পত্রিকায় তো নিয়মিত কলাম লিখতে হয়। আর বইতো এর আগে ৮টি বেরিয়েছে। লেখালেখিও সময় নিয় করতে হয় তাই লিখব হয়তো সামনে নতুন কিছু।
প্রিয়.কম: অবসরে সময় কাটান কীভাবে?
গোলাম কুদ্দুস: হা হা হা। ব্যস্ততার কারণে তো পরিবারকেও সময় দিতে পারি না। এর মধ্যে আবার অবসর আসে কোথা থেকে।
প্রিয়.কম: পরিবারকে সময় না দিলে কিছু বলে না আপনাকে?
গোলাম কুদ্দুস: নাহ। মেনে নিয়েছে তারা। তাদেরও কিছু করার নেই। কারণ তারা দেখতেই পাচ্ছে আমার হাতে সময় নেই। নববর্ষের দিনেও পরিবার নিয়ে ঘুরতে যেতে পারি না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না। কোন কিছুই আর এখন করতে পারি না। এই সংস্কৃতির জন্য অনেক কিছুই ছাড় দিয়েছি। এখনও দিয়ে যাচ্ছি।
প্রিয়.কম: নববর্ষের দিন কী করছেন?
গোলাম কুদ্দুস: জোট থেকেই নানা অনুষ্ঠান আছে। খুব সকাল থেকেই নানা অনুষ্ঠানে যেতে হবে। এর মধ্যে আবার মিরপুরেও জোটের অনুষ্ঠানে যেতে হবে। শাহবাগের দুই জায়গায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে হবে। পরিকল্পনা এখনও করতে পারছি না। দেখি কি হয় কালকে।
প্রিয়.কম: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।
গোলাম কুদ্দুস: আপনাকে ও প্রিয়.কমকেও।

সম্পাদনা: গোরা / ফারজানা রিংকী